February 1, 2025, 10:09 pm
মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
বরগুনার তালতলীতে সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। শুক্রবার সকালে উপজেলার বড়বগী ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতুটি হঠাৎ ভেঙে পড়েছে।
বড় অংকুজান পাড়া, খোট্টার চর, ৪০ গ্রামসহ অনেক গ্রামের মানুষের চলাচল ছিল এই সেতু দিয়ে। ভাঙা সেতুটির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলে এবং রোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০০৭ সালের সিডরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এটি অনেকটা বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। শুক্রবার সকালে তা হঠাৎ ভেঙে পড়ে।
বিকল্প রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকা দিয়ে চলাচল করছেন।
সেতু ভেঙে যাওয়ার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমির।
এ সময় তারা বলেন, বিএনপির সময়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর সেতুটি মেরামতসহ নতুন করে নির্মাণের বারবার দাবি করা হলেও আওয়ামী সরকারের নেতারা তা গুরুত্ব দেননি। এর কারণ, ওপারের লোকজন বিএনপি-পন্থী। তাই আওয়ামী সরকারের আমলে ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। আমাদের প্রাণের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলব দ্রুত বিকল্প চলাচলের পথ তৈরি করে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হোক।
উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতুটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, এবং বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন,শুক্রবার সকালের সংবাদ শুনেছি। ঘটনাস্থলে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ডঃ কামরুজ্জামান বাচ্চু ও বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া মুন্সি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শ্রমিক দিয়ে দুই একদিনের মধ্যে বিকল্প যোগাযোগের অস্থায়ী ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানান ।
মংচিন থান
বরগুনা প্রতিনিধি