January 31, 2025, 9:06 pm
আনোয়ার হোসেন,
স্বরূপকাঠি(পিরোজপুর)প্রতিনিধি//
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুলের কারণে জিহাদুল ইসলাম(১৪)নামে এক শিক্ষার্র্থীর পা কেটে ফেলতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা ‘হেলথকেয়ার’ নামের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ঘেরাও করলে ওই সেন্টারটি বন্ধ কওে দেওয়া হয়।
ওই স্কুল ছাত্রের পিতা আমিনুল ইসলাম মিলন অভিযোগ করেন, তার ছেলে জিহাদুল ইসলাম (১৪)। তারা উপজেলার সোহাগদল গ্রামের বাসিন্দা। জিহাদুল ইসলাম কলেজিয়েট একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র। সে কয়েক দিন আগে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে পায়ে ব্যথা পায়। এ অবস্থায় নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পায়ের গোড়ালি এক্স-রে করার জন্য তাঁকে হাসপাতাল সংলগ্ন হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। সেখানকার টেকনিশিয়ান চিকিৎসকের দেওয়া পরীক্ষার কাগজ না দেখেই এক্স-রে করেন হাঁটুতে। চিকিৎসক সেই এক্স-রে রিপোর্ট দেখে ছেলেটির পুরো পা ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দেন। এর কয়েক দিনের মাথায় জিহাদুলের পায়ে পচন ধরে। অবস্থা খারাপ দেখে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন ছেলের পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল। ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টে ভুল চিকিৎসায় ছেলের পায়ে ভিতর থেকে পঁচে গেছে। পরে সেখানকার ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছেলের পা কেটে ফেলেছেন।
ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালকের একজন মে: মাসুদ রানা বলেন, ওই ছেলের কথামত আমরা এক্সরে করে দিয়েছি। তবে ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে করে দিলে আমাদের সমস্যা হতনা। আসলে আমাদের ভুল হয়েছে।
স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান জানান, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশনে লেখা এক্সরের জায়গা দেখে পরীক্ষা করলে ছেলেটির এত বড় সমস্যা হতনা। আমি ভুক্তভোগীদের মৌখিক অভিযোগে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।