January 27, 2025, 4:23 pm
ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, (খুলনা)।।
মাঘের শীতে আম গাছের পল্লবে মুকুল বের হতে শুরু করেছে। আম চাষীরা গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শেষ করে দ্বিতীয়বার ঔষধ প্রয়োগ করছে।।
পাইকগাছা উপজেলার আম বাগানের গাছে মুকুল ধরা শরু করেছে। হপার পোকা দমনে আম চাষীরা গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শেষ যে সব গাছে মুকুল বের হয়েছে তার পরিচর্যা চলছে। ভালো ফলন পেতে বাগান মালিক ও আম চাষীরা আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে আম চাষী ও বাগান মালিকরা। পাইকগাছা বড় আম বাগানের মালিক বিরাশির অখিলবন্ধু ঘোষ, সনাতন কাঠির আমিন সরদার, মোমিন সরদার, গদাইপুরের সামাদ ঢালী, মোবারক ঢালী, গোপালপুরের আবুল হোসেন জানান, তাদের রুপালী, বোম্বাই লতা ও হিম সাগর জাতের গাছের সংখ্যা বেশি। বাগানের আম গাছে গাছে মুকুল এসেছে এবং পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তারা ভালো ফলনের আশা করছে।
পাইকগাছার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভা ছাড়া বাকী ইউয়িনগুলিতে একেবারে সীমিত আমের গাছ রয়েছে। উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে মোট আম গাছের সংখ্যা ১৪ হাজার ১শ ৮০ টি। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আম গাছ আছে। আম বাগান থেকে ২২ হাজার ১৮০ মেট্রিকটন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একরামুল হোসেন জানান, আম গাছে মুকুল ধরা শুরু করেছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক আম চাষী ও বাগান মালিকদের আমগাছ পরিচর্যায় পরামর্শ দিচ্ছে। ভালো ফলন পেতে বাগান মালিক ও আম চাষীরা আম বাগান পরিচর্যা করছেন। বড় কোন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে, তিনি আমের ভালো ফলন আশা করছেন।
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা, খুলনা।