পাইকগাছা- কপিলমুনি সড়কের দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।

পাইকগাছা আঠারো মাইল সড়কের দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় মাটি থেকে রাস্তা এক দেড় ফুট উচু হওয়ায় সড়কে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তা সংঙ্কার করা হলেও প্রায় এক বছর যাবত রাস্তার দুই পাশে মাটি দেওয়া হয়নি। তাছাড়া রাস্তার পাশে রক্ষাদেয়াল না থাকায় সরে যাচ্ছে মাটি। কিছু স্থানে মাটি সরে ভেঙে পড়ছে পিচঢালাই। ফলে পাইকগাছ আঠারো মাইল সড়কের পাইকগাছা উপজেলার মধ্যে কপিলমুনি- পাইকগাছার প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার সড়কে এখন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারি যানবাহনকে পাশ দিতে হালকা ও ছোট যানবাহন রাস্তার পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে পাশে সমান মাটি না থাকায় পাশে উল্টে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকগাছা পৌরসভা,সরল, গোপালপুর, গদাইপুর, সিলেমানপুর, আগড়ঘাটা, মালত, হরিঢালী, কপিলমুনি এলাকায় সড়কের পাশের মাটি দেওয়া হযনি। এসব স্থানে পাশাপাশি দুটি গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
যানবাহন চালকেরা জানান, সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে রাতে গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকতে হয়। অন্যথায় গাড়ি খাদে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর মধ্যে গদাইপুর, মানিকতলা,আগড়ঘাটা, হাবিব নগর এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। আবার পাশ কাটাতে গিয়ে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়েছে বেশ কয়েকবার।
প্রতিদিন ৪০টির অধিক পাইকগাছা-ঢাকা পরিবহন, ট্রাক, কার্গোট্রাক, বাস পিকআপসহ ছোট ছেট হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে গেছে। রাত-দিন সমান ব্যস্ত থাকে সড়ক। রাতে যাত্রীবাহী গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ছাড়া এ সড়কে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল কয়েক গুণ বেড়েছে। এসব পণ্যবাহী গাড়িও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আলম বলেন, জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সরকার প্রতিবছর পাইকগাছা থেকে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে আসছে। সে অনুপাতে এ সড়কের তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছে না।আবুল হোসেন বলেন, ছয় মাসে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। সড়কটির পাশে ২০ থেকে ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে যাওয়া-আসা করে। অথচ সড়কের দুই পাশে হাঁটার কোনো জায়গা নেই।
বর্তমানে সড়কটির বেশির ভাগ স্থানে দুই পাশে মাটি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা খুলনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *