January 8, 2025, 4:20 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসা শিক্ষক আটক খাল-বিলে পানি কমে যাওয়ায় সুজানগরে চলছে মাছ ধরার উৎসব দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নড়াইলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি বিলুপ্তপ্রায় বিএমডিএ’র অপারেটর নিয়োগ নিয়ে বিপাকে কর্মকর্তাগণ বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশী-বিদেশী অস্ত্রসহ কালাম বাহিনীর প্রধানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার বেতাগীতে তরুণদের উদ্যোগে উদারতার প্রীতি নির্মাণ ময়মনসিংহে ১৩ ইটভাটাকে ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত লাভজনক হওয়া সত্বেও শার্শায় খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই গাছিদের যশোরের বাগআঁচড়ায় ফেনসিডিল সহ দু’জন আটক
লাভজনক হওয়া সত্বেও শার্শায় খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই গাছিদের

লাভজনক হওয়া সত্বেও শার্শায় খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই গাছিদের

আজিজুল ইসলাম,যশোঃ যশোরের শার্শা উপজেলায় খেজুরের রস ও গুড়ের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্বেও রস ও খেজুর গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই সাধারণ চাষীদের। যে কারনে বিলুপ্ত হতে চলেছে খেজুর গাছ। অথচ এককালে শার্শা উপজেলার উৎপাদিত খেজুর গুড় বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো। প্রচুর চাহিদা ছিলো। বর্তমানে খেজুরের রস ও খেজুরের গুড় লাভজনক হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা সত্বেও চাষীরা খেজুর গুড় উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। তারা খেজুর গাছ রক্ষনা বেক্ষনেও উদাসীন।

সত্তুর আশির দশকেও উপজেলায় বাড়ি বাড়ি খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদন করা হতো। প্রতিটি বাড়িতে খেজুরের রস জালানো হাড়ি ও বড়ো বড়ো চুলা থাকতো গুড় তৈরির জন্য। এক সময় ইটভাটায় খেজুর গাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সে সময় অনেকেই খেজুর গাছ বিক্রী করে দেয়। নতুন করে খেজুরের চারা না লাগানোর ফলে খেজুর গাছের সংকট দেখা দেয়। একারনে অনেকেই গাছির পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যায়।

শার্শা উপজেলার ভারত সীমান্ত লাগোয়া রুদ্রপুর গ্রামের গাছি খলিলুর রহমান জানান, রুদ্রপুর গ্রামে আগে প্রত্যেক বাড়িতে খেজুরের গুড় বানানো হতো। তখন সকলেই গাছ কাটতো। এখন রুদ্রপুর গ্রামে মাত্র ৮ জন গাছি রয়েছেন। আগে প্রায় ৩শ’র মতো গাছি ছিলো। এখন গাছিরা অন্যের খেজুর গাছ ভাগে নিয়ে রস ও গুড় তৈরী করেন। আগেকার দিনে সকলেই নিজেদের গাছ নিজেরাই করতেন। এখনকার দিনে এক ভাড় রসের দাম ২৫০/ ৩০০ টাকা এবং এক কেজি নলেন গুড়ের পাটালির দাম ৫/৭ শ টাকা। তবুও তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেন না। তিনি আরো জানান, একটা খেজুর গাছ তোলা খরচ পড়ে ৭০ টাকা, এবং প্রতিটি গাছ কাটতে পারিশ্রমিক দিতে হয় ২০ টাকা। রস নিজেরা পেড়ে নিতে হয়। এসব কারনে অনেকের খেজুর গাছ থাকলেও তারা নিজেরা গাছ না করে প্রয়োজনে রস ও গুড় কিনে খান। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েক বছর ধরে রসের উৎপাদন অনেক কম হচ্ছে। শীত বেশী পড়লে রসও বেশী হয় বলে তিনি জানান।

অপর গাছি জুলফিকার আলি বলেন, খেজুর গাছে এখন অনেক লাভ। আগে ১০ টাকায় ১ভাড় রস বিক্রী হতো, এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩শ টাকায়। ১ কেজি গুড়ের দাম ছিলো ৩০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫ /৭ শ টাকা। বর্তমানে একটা গাছে এক মৌসুমে ৩ হাজার টাকার রস ও গুড় পাওয়া যায়। একশ’টা খেজুর গাছ থাকলে ৩ লাখ টাকারও বেশী আয় হয় তা থেকে। খেজুর গাছে জমির অন্য ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না, জমিরও ক্ষতি হয় না । ফসলী জমির চারি পাশে খেজুর গাছ লাগিয়ে বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, আগের মতো সবাই আগ্রহী হলে এলাকায় রস ও গুড়ের চাহিদা মিটিয়েও বাইরে রপ্তানি করা সহজ হবে। এবং জেলার ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

এব্যাপারে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, গ্রাম-বাংলা তথা যশোরের ঐতিহ্য রক্ষা করতে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও জমির আইলে খেজুর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এ পেশার সঙ্গে জড়িত গাছিদের নিয়ে সমাবেশ করে তাদের রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনের পাশাপাশি বিপননের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD