আজ জাহাজমারা হাবিব এর  মৃ-ত্যুবার্ষিকী

আজ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার  জাহাজমারা কমান্ডার নামে খ্যাত বীর বিক্রম হাবিবুর রহমান ২৫তম মৃত্যু বার্ষিকী

। ১৯৯৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঘাটাইলের জামুরিয়া ইউনিয়নের সাধুর গলগন্ডা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাজমারা হাবিব হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।

জাহাজমারা হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঘাটাইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম স্মৃতি সংসদ এর পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে  দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধর সময় ১৯৭১ সালের ১১ আগষ্ট টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরের যমুনা-ধলেশ্বরী নদী পথের মাটিকাটা নামক স্থানে নদী পথে নজরদারী করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন কাদেরিয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ সাহসী চৌকস কমান্ডার মেজর হাবিবুর রহমান।

তার অত্যন্ত দুরদর্শীতায় ও অল্প সংখ্যক সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের নিয়ে দুটি অস্ত্রবোঝাই জাহাজ এস টি রাজন ও ইউএস ইজ্ঞিনিয়ারস এল সি-৩ ধ্বংস করার মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়।

জাহাজগুলো আক্রমন ও ধ্বংস করার মাধ্যমে এক লাখ ২০ হাজার বাক্সের তৎকালীন ২১ কোটি টাকার মুল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রনে আসে। পরবর্তীতে যুদ্ধ জাহাজ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পাকিস্তানী কমান্ডডেট লেঃ জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী ও বিগ্রেডিয়ার কাদের খান নেতৃত্বে ৪৭ ব্রিগেট,৫১ কমান্ডো ব্রিগেট ও হানাদার বিমান বাহিনী ২টি এফ-৮৬ সাব জিট বিমান দ্বারা মুক্তি বাহিনীদের উপর চতুর্দিকে আক্রমন করে।

পরবর্তীতে হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বের কাছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরিবর্তনকারী টার্নিং পয়েন্ট অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয় । কমান্ডার হাবিবুর রহমানের অসীম বলিষ্ঠ সাহসীকতার নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম ও জাহাজমারা হাবিব উপাধিতে ভুষিত করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *