December 28, 2024, 7:21 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বানারীপাড়ায় মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষক সমাবেশ ও স্বারকলিপি প্রদান স্বরূপকাঠিতে সীলকোটের কাজ শেষ হওয়ার ৭দিনের মাথায় রাস্তার উপর গজিয়েছে ঘাস তানোরে বিএমডিএর সিদ্ধান্ত মানছে না পল্লী বিদ্যুৎ নড়াইলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক রোমান গ্রে-ফতার আগাম তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাঙ্গাবালীর কৃষকরা গাইবান্ধার ফুলছড়িতে দেশীয় ব-ন্দুকসহ ডা-কাত সাইফুল গ্রেফতার আজ জাহাজমারা হাবিব এর  মৃ-ত্যুবার্ষিকী দৈনিক ”আগামীর দর্পণ’ অনলাইন নিউজ পোর্টালের বার্তা সম্পাদক হলেন প্রদীপ কুমার রায় মোরেলগঞ্জের ৮ গ্রামের ২৫হাজার মানুষের চরম ভোগান্তি বাশেঁর সাকোই একমাত্র ভরষা ব্রীজ নির্মানের দাবী ব্রীজ নির্মানের দাবী
আজ জাহাজমারা হাবিব এর  মৃ-ত্যুবার্ষিকী

আজ জাহাজমারা হাবিব এর  মৃ-ত্যুবার্ষিকী

আজ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার  জাহাজমারা কমান্ডার নামে খ্যাত বীর বিক্রম হাবিবুর রহমান ২৫তম মৃত্যু বার্ষিকী

। ১৯৯৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঘাটাইলের জামুরিয়া ইউনিয়নের সাধুর গলগন্ডা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাজমারা হাবিব হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।

জাহাজমারা হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঘাটাইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম স্মৃতি সংসদ এর পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে  দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধর সময় ১৯৭১ সালের ১১ আগষ্ট টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরের যমুনা-ধলেশ্বরী নদী পথের মাটিকাটা নামক স্থানে নদী পথে নজরদারী করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন কাদেরিয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ সাহসী চৌকস কমান্ডার মেজর হাবিবুর রহমান।

তার অত্যন্ত দুরদর্শীতায় ও অল্প সংখ্যক সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের নিয়ে দুটি অস্ত্রবোঝাই জাহাজ এস টি রাজন ও ইউএস ইজ্ঞিনিয়ারস এল সি-৩ ধ্বংস করার মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়।

জাহাজগুলো আক্রমন ও ধ্বংস করার মাধ্যমে এক লাখ ২০ হাজার বাক্সের তৎকালীন ২১ কোটি টাকার মুল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রনে আসে। পরবর্তীতে যুদ্ধ জাহাজ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পাকিস্তানী কমান্ডডেট লেঃ জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী ও বিগ্রেডিয়ার কাদের খান নেতৃত্বে ৪৭ ব্রিগেট,৫১ কমান্ডো ব্রিগেট ও হানাদার বিমান বাহিনী ২টি এফ-৮৬ সাব জিট বিমান দ্বারা মুক্তি বাহিনীদের উপর চতুর্দিকে আক্রমন করে।

পরবর্তীতে হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বের কাছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরিবর্তনকারী টার্নিং পয়েন্ট অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয় । কমান্ডার হাবিবুর রহমানের অসীম বলিষ্ঠ সাহসীকতার নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম ও জাহাজমারা হাবিব উপাধিতে ভুষিত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD