December 5, 2024, 1:50 am
এম এ আলিম রিপনঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ,থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মেহেদী হাসান,উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কামাল হোসেন বিশ্বাস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর ফারক-ই আযম, সেক্রেটারী টুটুল হোসাইন বিশ্বাস, পৌর আমীর রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হাই সাগর, চরসুজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে দ্বীপ মাহমুদ, আরিফুল ইসলাম, মাসুম, মৃদুল, রবিন ও তাসফিয়া, ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে শাহরিয়ার হোসেন জিহাদ,রাতুল, শেখ রাফি প্রমুখ। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লোমহর্ষক হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের গল্প শোনান পাবনা শহরে আন্দোলনে হামলার শিকার হয়ে আহত ও কারাবরণকারী শিক্ষার্থীরা আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের অনেক ভাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে দুঃখ নাই,তবে ওই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে নিহত পরিবার ও আহতদের পূর্নবাসন করা সহ উন্নত চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, ‘আন্দোলনের সময় রাজপথে যখন নেমেছিলাম তখন মনে হচ্ছিল যুদ্ধে এসেছি। জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পারব কখনো ভাবিনি। বাংলার মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচারের জায়গা হবে না। আগের প্রজন্মের ব্যর্থতার কারণে রাজনীতির প্রতি এ প্রজন্ম আগ্রহ হারিয়েছিল। আমরা এমন একটা সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, যাতে আগামী প্রজন্ম রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হয়। তারাই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। স্মরণসভায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের আগে ও পরে সব আন্দোলন শিক্ষার্থীরাই সফল করেছেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদরা বহু বছর চেষ্টা করেও যা করতে পারেনি, জনগণকে সম্পৃক্ত করে তা সফল করেছে দেশের ছাত্র সমাজ। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন কোনো ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার ক্ষমতার মসনদে বসতে না পারে সেজন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তারা। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকবে সুজানগর উপজেলা প্রশাসন। পরে উপজেলা মডেল মসজিদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সুজানগর মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আরিফবিল্লাহ।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর প্রতিনিধি।।