January 22, 2025, 1:50 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাব আগামী দিনে প্রবাসীদের আস্থারস্থল হবে…মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন  মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট, আহত ৬ নলছিটিতে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ  উজিরপুরে মৎস্য জীবিদের মৎস্য আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নওগাঁর পোরশায় বিএনপি অফিস পোড়ানো মামলায় আ’লীগের পাঁচ নেতা কারাগারে ভারতে সাইফ আলী খান’র ওপর হামলায় অভিযুক্ত বিজয় দাশ নলছিটির শেহজাদ মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা শান্ত হ-ত্যা মামলা নিয়ে নানা প্রশ্ন মাদারীপুরে বো-মাবাজ স-ন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন রংপুর মহানগরীতে বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযানে ২৫,০০০/- টাকা জরিমানা নড়াইলে হারিয়ে যাওয়া পঁচিশটি মোবাইল উদ্ধার প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর
পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরা পরিবর্তন করেছে পেশা

পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরা পরিবর্তন করেছে পেশা

আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রায় পুরোপুরিই হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস। শীত মৌসুম এলেই এক সময়ে গ্রাম-বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে ফিরনি,পায়েস, খেজুর রসের গুড় দিয়ে ভাঁপা পিঁঠা এবং গাড় রস দিয়ে তৈরী করা মুড়ির মোয়া,চিড়া,খই ও চিতই পিঠাসহ হরেক রকম পিঠাপুলির মহোৎসব চলতো। কিন্তু আগের মতো আর গ্রামে বাড়ি বাড়ি কিংবা গ্রামের রাস্তা ঘাটের দু’পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা মেলা ভার। গ্রামের রাস্তাগুলো সংস্কার ও নতুন করে খেজুর গাছ রোপনে মানুষের আগ্রহের অভাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এখনও রাস্তার আশেপাশে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নামমাত্র কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ। আর রস আহরণে এখনো গ্রাম্য রীতিতেই ঝুঁকি নিয়েই কোমরে রশি বেঁধে শীতের বিকালে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে রেখে পরের দিন সকালে তা নামিয়ে রস সংগ্রহ করেন গাছিরা। আগে তারা এই কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাট-বাজারে পাড়া মহল্লায় বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। আবার কেউ কেউ সকালে রস জ্বাল দিয়ে গুড়-মিঠাই তৈরি করতো। প্রতিবছর এই মৌসুমে অযত্নে-অবহেলায় পথে প্রান্তরেও পরে থাকা খেজুর গাছের রস ও গুড় বিক্রি করে বাড়তি টাকা উপার্জন করতো তারা।
কিন্তু বর্তমানে পর্যাপ্ত খেজুরের গাছ না থাকায় গাছিরাও তাদের এই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।

বর্তমানে খেজুরের গাছ বিলুপ্তীর দ্বার প্রান্তে চলে যাওয়ায় উপজেলা কৃষি দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং আমাদের সকল নাগরিকদেরকে বাড়ির আসেপাশে খেজুর গাছ রোপণ করা এখন সময়ের দাবি। এতে করে আগামী প্রজন্মও ফিরে পাবে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD