October 9, 2024, 6:55 pm
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটিতে ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় ভারতীয় আগ্রাসন,পানি সন্ত্রাসের কারনে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও বন্যার্তদের জন্য দোয়ার আয়োজন করে ছাত্র ও জনতা।
ভারি বৃষ্টির প্রভাবে পানির চাপ বাড়ায় কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারতের ত্রিপুরার ডাম্বুর বাধের গেইট খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের ফেনী,কুমিল্লা,চট্টগ্রাম প্লাবিত হয়েছে।এতে গৃহহীন হয়ে পরেছেন প্রায় দুই লক্ষ পরিবার।কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এভাবে মধ্যরাতে বাধের গেইট খুলে বাংলাদেশকে প্লাবিত করায় ক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ।এরই প্রেক্ষিতে নলছিটি উপজেলার ছাত্র ও জনতা এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন।
আসরের নামাজের পরে নগরীর বাস স্ট্যান্ডে শহীদ সেলিম তালুকদার স্মৃতি চত্তরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এতে দোয়া পরিচালনা করেন এবং বক্তব্য রাখেন আখরপারা বাজার মসজিদের খতিব হাফেজ মাহফুজুর রহমান।ছাত্র ও স্থানীয় জনতার মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন বালী তাইফুর রহমান তূর্য, লিমন হোসেন,চট্টগ্রাম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান তাহমিদ,সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা মো:মারজান,দ্বীপ,আব্দুল্লাহ,আব্দুর রহমান,মো:মিরাজ,রামিম,মো:সাইফুল,ফাইয়াজ,আ:আহাদ প্রমুখ।এসময় বক্তারা বলেন ভারত পানি সন্ত্রাসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ করছে।তারা আন্তর্জাতিক অভিন্ন নদীগুলোতে বাধ দিয়ে বাংলাদেশের অংশকে হত্যা করেছে।শুকনো মৌসুমে তারা আমাদেরকে পানি না দিয়ে মরুভূমিতে পরিনত করেছে।নদীতে পানির প্রবাহ না থাকায় নদীর নাব্যতা হারিয়েছে, এরপর যখন বর্ষায় তারা প্লাবিত হয় তখন পানি জমিয়ে বাধ খুলে দেয়।যারফলে একই সময় অধিক পরিমানে পানির স্রোতে বাংলাদেশ প্লাবিত হয়।যাতে শত শত মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ।কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে সংযোগ থাকা অভিন্ন ৫৪ টি নদীর প্রতিটি নদীর ন্যায্য হিস্যার দাবিও জানান তারা।ভারত কোনোদিন বাংলাদেশের বন্ধু ছিল না,বন্ধু হলে এভাবে প্রতিবছর বাধ খুলে দিয়ে চুবিয়ে মারতে পারতো না।তাদের সাথে বানিজ্যিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতে পারে কিন্তু কোনো মালিক-গোলাম সম্পর্ক বা স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক থাকতে পারে না।এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,মোদী জি কান খুলে শুনে নাও,বাংলাদেশ আর ভারতের গোলাম হয়ে থাকবে না।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিটি ভারতীয় ষড়যন্ত্র রক্ত দিয়ে হলেও রুখে দেয়া হবে।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, ভারতের প্রতিটি বাধের বিপরীতে বাংলাদেশকেও বাধ নির্মান করতে হবে, এবং এতে যদি নাগরিকদের শ্রম দিতে হয়,অর্থ দিতে হয় তাহলে তাও দিতে রাজি আছে বাংলাদেশের মানুষ।প্রয়োজন হলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করতেও সরকারকে অনুরোধ করেন তারা।ভারতের রক্ষীতা বা দাস হয়ে থাকবে না বাংলাদেশ বলেও হুশিয়ারি দেন তারা।
বন্যার্তদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে দোয়ার মাধ্যমে শতাধিক ছাত্র ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে ঘন্টাব্যাপী এ সমাবেশ সমাপ্ত করা হয়।