October 5, 2024, 3:11 am
আজিজুল ইসলামঃ
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ঢাকার আন্দোলনে যোগ দিয়ে সংঘর্ষে নিহত ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির (২৩) যশোরের ঝিকরগাছার দেউলি গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার দেউলি গ্রামের আতিয়ার রহমান খান হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জাবিরের বাবা জানান ১৭ জুলাই সাউথইষ্ট ভার্সিটির ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় গুলিতে আহত হন জাবির। ওই দিনই বিকেলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। খবর পাওয়া মাত্রই একমাত্র মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নওশের আলী দম্পত্তি ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যান।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছেলের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারি। ততক্ষনে জাবির কোমায় চলে গেছে। বার বার ছেলেকে ডেকেও শেষ কথাটি শুনতে পারিনি। তারপরও বুকে আশা নিয়ে ছেলের কাছে ছিলাম। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সকালে সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় জাবির।
মেডিকেলের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রাম দেউলী। এই গ্রামের এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির (২৩)। কৃষক নওশের আলী ও গৃহিনী শিরিনা আক্তার দম্পত্তির ২ সন্তানের মধ্যে জাবির বড়।
জাবির ২০১৮ সালে বাগআঁচড়া হাই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নাভারণ আকিজ কলিজিয়েটস্কুল এন্ড কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে (আইএ) ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে মানবিক বিভাগের ছাত্র হিসেবে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। জাবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষে ঢাকার সাউথইস্ট ইউনির্ভাসিটিতে বিবিএ কোর্সে ভর্তি হন।