November 21, 2024, 6:21 am
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।। পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার কাজীপাড়া-কামারপাড়া কাচা সড়কটি গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণের চাপে রাস্তা ভেঙে যান চলাচল ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা।
গত বুধবার (১০ জুলাই) হঠাৎ ওই সড়কটি পানির চাপে ভেঙে যায়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে সড়কটির ভাঙা স্থানে মাটি ভরাট ও পানি নিষ্কাশনের জন্য রিং দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গ্রহনের কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, একদিকে চাওয়াই নদীর ঢেউয়ের পানি অন্যদিকে কামারপাড়া ও কাকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার পানি জমা হয়ে পড়তো সড়কের পাশে একটি খালে কিন্তু গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির ফলে পানি সড়কের পাশের সেই খালে গিয়ে জমাট হলে পানির চাপে সড়কের মাটি ভেঙে পানি চাওয়াই নদীতে চলে যায়। এতে সড়কটি ভেঙে গেলে স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরদের বিষয়টি জানালে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএস মোঃ শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ কয়েকটি রিং বাসনোর ব্যবস্থা করে দেন এবং স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নিজ উদ্যােগে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করেন।
কামারপাড়া এলাকার রমিজ উদ্দিন বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মানুষ যাতায়াত করে কিন্তু হঠাৎ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচল করতে পারছি না। তবে দ্রুত মেড়ামতের উদ্যোগ নেয়ায় আমাদোর জন্য উপকার হলো।
একই কথা বলেন সফিউল আলম নামে আরেক বাসিন্দা, তিনি বলেন, উপজেলা থেকে রিং ও বকুল নামে এক ব্যবসায়ী মাটি ভরাট করে দিচ্ছে। এতে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। এছাড়াও এলাকাবাসী কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা জানান, বকুল নামের বালি ব্যবসায়ীকে শুত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসাতে একই এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে রশিদুল ইসলাম স্যোশাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়েছে।
কামারপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব রমজান আলীর ছেলে বশিরুল ইসলাম বকুল নামে ওই ব্যবসায়ী বলেন, সড়কের দুই পাশে তার প্রায় ৬ একর জমি ও বালির ব্যবসা রয়েছে। নদীতে তার ২০ শতক জমিও ভেঙে গেছে। পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে ব্যবসার সমস্যা ও স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনস্বার্থে তার নিজস্ব টাক্টর দিযে ভাঙা স্থলে মাটি ভরাট করে দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, শত্রুতার জের ধরে এবং তাকে ফাঁসাতে ফেসবুক আইডিতে ইংরেজি রশিদুল ইসলাম রশিদুল নামের এক ব্যক্তি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়েছেন। তিনি এই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
রশিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বকুল তার ব্যবসার উদ্দেশ্যে রাস্তাটি ভেঙে দিয়েছেন। ভেঙে দেয়ার প্রমাণ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে কথা সটকিয়ে ফেলেন এবং সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাস করার কথা বলেন। অথচ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান কালে বকুল কর্তৃক রাস্তা ভেঙে দেয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর কোন বক্তব্য উপস্থাপিত হয়নি বা সত্যতার প্রমাণ মিলেনি।
এ বিষয়ে সাতমেড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ার খবর উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও প্রশাসন মহোদয়কে অবগত করা হলে পানি নিষ্কাশনের জণ্য রিং দেওয়া হয়েছে। বকুল নামের ব্যক্তি রাস্তা ভেঙে ফেলেছে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে এটি কতটুকু সত্য বলে আপনি জানেন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, বকুল নামে কোনো ব্যক্তি রাস্তা ভাঙেনি বরং পানির চাপেই ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি অবগত আছেন। এ বিষয়ে মিটিং এ আলোচনা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
মুুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।