October 14, 2024, 8:28 pm
লিটন মাহমুদ,
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আমার ছেলে-মেয়েরা রাতে ঘুমাতে পারেনি,একটু পরপর শুধু জিঙ্গেস করেছে ওর বাবা কোথায়। সকালেও জিঙ্গেস করেছে ওর বাবা কেনো এম্বুলেন্সে শুয়ে আছে, বাড়িতে আসেনা কেনো,আমি ওদের কি উত্তর দিবো!
কথাগুলো বলতে বলতে কাদছিলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাওয়ে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারের স্ত্রী এলাছ আক্তার। সুমন ও এলাছ দম্পতির পাঁচ বছরের জান্নাতুল সেজদা নামে এক মেয়ে ও সালমান সাদি নামের তিন বছর বয়সি এক ছেলে রয়েছে।
নিহত চেয়ারম্যান সুমন হালদার পাঁচগাঁও গ্রামের প্রয়াত পিয়ার হোসেন হালদারের ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের মার্চে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন সুমন।
আজ সোমবার সকালে ছেলে-মেয়েকে বুকে জড়িয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন এলাছ আক্তার।বাড়িতে শতশত মানুষ সুমনের স্ত্রী এবং সন্তানদের দেখতে আসছেন।অনেকে ডুকরে ডুকরে কাদছিলেন।নিহতের স্বজনরা এলাছকে সান্তনা দিতে চেষ্টা করছিলেন।
এ সময় এলাছ নিজেকে সামলে নিয়ে বলতে থাকেন,৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে সুমনের সঙ্গে বিয়ে হয়।কোন ঝামেলা ছিলনা।সুমন কৃষি কাজ করতো।ভালোভাবে আমাদের সংসার জীবন চলছিল।সুমন খুব মিসুক ছিল।ছোট-বড় সবাই ভালবাসত।এ জন্য গত বছর এলাকার সবাই জোর করে ইউপি নির্বাচনে আনে।বড় ব্যবধানেও জয়ী হয় সে। নির্বাচিত হওয়ার পর সুমন দিন-রাত মানুষের বিপদে দৌড়াদৌড়ি করত। সুমনের দুই ভাই ইউরোপ প্রবাসী।মানুষের বিপদ দেখলে সুমন নিজের পকেটের টাকা,ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাওয়া সম্মানীর টাকা দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করতো।টাকা না থাকলে প্রবাসী ভাইদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে এনে সহযোগীতা করতো।কখনো নিজের চেয়ারম্যানির অসদ ব্যবহার করতো না।এজন্য মানুষ তাকে আরো বেশি ভালোবাসত।এ ভালোবাসাই তার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়ে ছিল।চেয়ারম্যান না হলে হয়তো সুমনকে মরতে হতো না।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,রোববার সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা দেওয়ান মনিরুজ্জামান নামে স্থানীয় একজন ব্যক্তি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিলেনুর রহমান