May 17, 2024, 3:01 pm
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধির//
পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলায় চান রাত্রের দিন মৃত গরু জবাই করে মাংশ বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে এক খামারির বিরুদ্ধে। ঐ গাভিটি বাচ্চা প্রসবের পর অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন রাত্রে গরুর খামারি লিটন, ও তার ভাই আসলাম এবং ভাঙনে সজল ঐ মৃত গরুটি জবেহ করে ৮০০টাকা কেজিদরে মাংস বিক্রি করে দেয়। অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি চাপা দেয়ার করে একটি মহল। যে কারনে ঘটনাটি এতোদিন প্রকাশ পায়নি। পরে স্থানীয় জনগণ ক্ষোভের বর্শবর্তী হইয়া ন্যায় বিচার চেয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে উত্তর জগন্নাথকাঠি গ্রামে ঐ ঘটনা ঘটে। খামারির মালিক লিটন ও আসলাম ওই এলাকার মৃত মান্নান ডাকুয়ার ছেলে এবং ভাগিনা আল ইমরান সজল মোঃ ফারুক মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার গরু ব্যবসায়ী লিটন মিয়ার নিজস্ব খামারে ২৯ রমজানে আনুমানিক রাত ২/৩ টার দিকে একটা গাভী গরু বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চা প্রসবের পর থেকেই গাভিটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঠিক তার পরের দিন ৩০ রমজান রাতে গরুটি মারা যায়। লিটন আসলাম এবং সজল মিলে রাত আনুমানিক ১১/১২ দিকে তার নিজ বসত বাড়ির পাশে একটি মাঠে গাভীটিকে জবাই করে স্থানীয়দের মাঝে মাংস বিক্রি করেন এবং আরশ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানে বসে ভাগনে সজল গরুর মাংস বিক্রি করে। প্রতি কেজি ৮০০/-কেজি ধরে বিক্রি করে।
প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে কোন গাভী বাচ্চা প্রসবের এক মাসের মধ্যে জবাই করে গোস্ত খেলে মানবদেহের মাসেল ও হরমোনের মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এবিষয়ে স্থানীয় সালেক সালাাম জানান, আমি মাংস কিনেছিলাম পরে যখন জানতে পারলাম মৃত গরু জবেহ করা হয়েছে তখন আমি মাংস ফেলে দিয়েছি। আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান সেই মাংস খাওয়ার পরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেসবাহুল ইসলাম বুলবুল,সাবেক কাউন্সিলর বিপ্লব সহ একাধিক সচেতন মহল বিষয়টি যেনে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এই বিষয়ে নেছারাবাদ থানায় অবহিত করা হয়েছিলো স্থানীয় জনগন। এবং ওই সকল অসাধু ব্যাবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবি করেছিলেন।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত তদন্ত এইচ এম শাহীন জানান, মৌখিক একটা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এস আই পনির গিয়েছিল। তবে লিখিত কোন অভিযোগ হয়নি। শুনছি গরুটি বাচ্চা হওয়ার পরে আসুুস্থ হয়ে পড়েছিলো।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।