July 6, 2025, 6:54 am
এস মশিউর,
বিশেষ প্রতিনিধি।। বাহুবল উপজেলার মিরপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সীরাতুন্নবী সাঃ মাহফিলে মুসল্লীদের উপর হামলা এবং মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপারের অনিয়ম দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কিত পরিবেশ। এতে মিরপুর এলাকাবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ ও খাদিমুল কোরআন পরিষদ মিরপুর ইউনিয়ন শাখার ব্যানারে শুক্রবার ২৬ জুলাই জামেয়া হুসাইনিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সীরাতুন্নবী সাঃ মাহফিল। এশার নামাজের আগ মূহুর্তে অজুরত অবস্থায় মাওলানা আব্দুর রহিম (৭৫) ও হাফেজ শরিফ উদ্দিন (২০) নামে দুই মুসল্লী দূর্বৃত্তের ছুরা ইটের আঘাতে গুরুত্বর আহত হন। যদিও তাৎক্ষণিক পুলিশ ও উলামায়ে কেরামের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপরও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে মাওলানা আব্দুল হাই দাবি করেছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় ব্যাপক লেখালেখি চলছে।
অপরদিকে মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে কোন হিসাব না দেয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সাথে দেনদরবার চলে আসছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এহসান আহমদ চৌধুরী জানান, আগামী ১মে অডিট কমিটির কাছে সুপার সাবের হিসাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সুপার এ সিদ্ধান্তের গ্রহণেরএকদিন পর বৃহস্প্রতিবার রাত ৯টার দিকে কমিটিকে না জানিয়ে কতিপয় বহিরাগত লোক নিয়ে গোপন বৈঠক করেন। এ বৈঠকের খবর জানতে পেরে সুপারকে ফোন দিলে কোন ধরনের বৈঠকের অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে জানান কমিটির অভিভাবক সদস্য সাজিদুর রহমান। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরদিন শনিবার রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার অফিসে সুপারের সাথে প্রক্তন ছাত্রদের নাম দিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল করা হয়। এতে কমিটির বিদ্যূৎসাহী সদস্য মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ নাম উল্লেখ করে কমিটির বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়। এমনকি সুপারের পক্ষে মিরপুরে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এতে পরিস্থিতি সাংঘর্ষিক পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগ, সুপার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন আগামী ১ মে নির্ধারিত অডিট বানচাল করার জন্য ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।