July 31, 2025, 2:24 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পোরশায় যুবলীগ নেতা ও হ-লুদ সাংবাদিক নাহিদ গ্রে-ফতার তানোরে ওসি আফজালের নে-তৃত্বে সফল অভি-যান- ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার চো-র গ্রে -প্তার সলঙ্গায় সাংবাদিকের পিতার স্মর-ণে দো-য়া মাহফিল নলডাঙ্গায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে জমি স্কুলের- বে-চে দিলেন প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন মোংলায় বা-ঘ র-ক্ষায় সচে-তনতা সৃষ্টিতে বা-ঘ মহ-ড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ৪ লাখ টাকা চু-রি ২ বছর পর রহ-স্য উদঘাটন ও আসা-মী গ্রে-ফতার করলো পিবিআই মা-দক ব্যব-সায়ী শাহীন আলমের প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রো-ক করেছে সিআইডি পঞ্চগড়ে চিকিৎসক সেজে ওটি বয়ের অপারেশন: মালিক কা-রাগরে ময়মনসিংহ সদরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী বাড়ী

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী বাড়ী

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ পিছিয়ে নেই গ্রামাঞ্চল আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এখানেও। মাটির ঘর/ছনের ঘরের জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্রাসাদসম অট্টালিকা। মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান। একটু সুখের আশায় মানুষ কত কিছুই না করছে। মাটির ঘরের শান্তি ইট পাথরের দালান কোঠায় খুঁজে পাওয়া ভার।

তারপরও মানুষ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণের সাথে সাথে পাঁকা দালান কোঠায় তৈরি করছেন। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর কিংবা মাটির দোতলা বাড়ী। বেশিদিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে একসময় মানুষের নজর কাড়তো সুন্দর এ মাটির ঘর। ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।

আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের বিবর্তনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ চিরচেনা মাটির ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। অতীতে মাটির ঘর গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলে পরিচিত ছিল। এ ঘর শীত ও গরম সব মৌসুমে আরামদায়ক তাই আরামের জন্য গ্রামের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক বিত্তবান ও মাটির ঘর তৈরি করতেন।

জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই মাটির ঘরের প্রচলন ছিল। এটেল বা আঠালো মাটি কাঁদায় পরিনত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় থড় অথবা টিনের ছাউনি দেয়া হত। মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের তিন-চার মাসের অধিক সময় লাগতো। গৃহিনীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে তাদের নিজ বসত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলতেন।
এক সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। তবে বর্ষার সময় মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বেশি। ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়।

কিন্তু কালের আর্বতনে দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে সে চিরচেনা শান্তির নিড় ‘মাটির ঘর’। গোদাগাড়ী উপজেলার কম বেশি সব গ্রামেরই দেখা যেতো শান্তির নীড় ‘মাটির ঘর’ কিন্তু সে মাটির ঘর এখন আর চোখে পড়ে না।

গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের সৈয়দপুর, এনায়েতপুর গ্রামের দুলাল হাজির বাড়িতে সেই পুরোনো স্মৃতিভরা শান্তির নীড় মাটির ঘরে চোখ পড়লো, কথা হলো বাড়ির মালিকের সাথে তিনি বলেন, বাবা ও দাদাদের সেই পুরোনো স্মৃতি ধরে রাখতে এখনো মাটির ঘর রেখে দিয়েছি। তবে যুগের সাথে তাল মেলাতে এখন অনেকে ইটের ঘর তৈরি করছে, তাই ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর।

গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল গণি মাসুদ জানান, বাপ দাদার স্মৃতি এখনও ধরে রেখেছি। যা এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রচন্ড তাপদাহে বাড়ির লোকজন শান্তির পরশ হিসেবে আমাদের মাটির ঘরকে বেঁছে নেয়। বিদ্যুৎ না থাকলেও মাটির দোতলায় আরামে বসবাস করা যায়।

দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ইফতেখার হোসেন বলেন, মাটির ঘর বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের বিবরর্তনে অধিকাংশই মানুষ মাটির ঘর ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় অনেক লোকের বসবাসের জন্য ইটের ঘরকে প্রথম প্রচন্দের তালিকা নিয়ে আসছে। তাই তো দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে ওই সব মাটির ঘরবাড়ী।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD