May 18, 2025, 10:07 pm
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে চলছে মুরগী বিহীন খামারের আড়ালে কৃষকদের জিম্মি করে রমরমা সেচ বাণিজ্য। অল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফা হওয়ায় কথিত খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে মুরগীর কোনো অস্থিত্ব নাই। সরেজমিন উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) গাংহাটি মাঠে গেছে, জনমানব শূণ্য বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের মধ্যে টিনের চালাতুলে মুরগী খামারের নামে অবৈধ মটর বসানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কৃষকদের বাঁধা উপেক্ষা করে এমাজ উদ্দিন গাংহাটি মাঠে গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় অবৈধ মটর স্থাপন করেছেন। তানোর পল্লী বিদ্যুত অজ্ঞাত কারণে সেই অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। এদিকে এমাজ উদ্দিন মুরগী খামারের কৃষকদের জিম্মি করে সেচ চার্জ আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছে। এলাকায় তিনি (ওয়াটার লর্ড) বা জল জমিদার নামে পরিচিত। অন্যদিকে তাঁর অবৈধ মটর থেকে সেচ বাণিজ্য করায় পাশের গভীর নলকুপ লেয়ার ফেল করে প্রায় অকেজো হবার পথে।
সুত্র জানায়, মুরগী খামারে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গেলে তিনি কখানো কোনো অবস্থাতে কৃষি জমিতে সেচ দিবেন না, দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে ৩০০ টাকা মূল্যর ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মটর মালিকের এমন অঙ্গীকার নামা দেবার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়াও সেই খামারে মুরগী পালন করা হয় কি না সেটা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা আছে। কিন্ত্ত এমাজ উদ্দিন এসব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে সেচ বাণিজ্যে করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিগত ২০১৪ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেন। পরিপত্রে বলা হয় বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট মোকাবেলায় সেচ মটর স্থাপন নিরুৎসাহিত (বন্ধ) করে তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা সেচ কমিটিকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে এমাজ উদ্দিনের মটরের সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে এমাজ উদ্দিন বলেন, অনেক টাকা খরচ করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন, তিনি সেচ দেন এটা পল্লী বিদ্যুৎ জানেন। তিনি বলেন, খামার না দেখালে সংযোগ দিবে না তাই খামার দেখানো হয়েছিল।#