April 29, 2025, 9:16 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
হাড় কাঁপানো কনকনে শীত, বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্নবিত্তরা। এ শীতে কষ্টে দিনাতিপাত করছে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্নআয়ের মানুষসহ ছিন্নমূলরা। বিশেষ করে, বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে গরম ও উষ্ণ শীতবস্ত্রের জন্য হা-হা-কার করে শীতার্তরা।
অসহায়, হতদরিদ্র, রাস্তায় ও ফুটপাতে,আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা-ভিক্ষুক, নদী ভাঙনের শিকার ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের ঘরে-ঘরে ছুটেন ময়মনসিংহের সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড মোঃ উজ্জ্বল হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা।
সম্প্রতি উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের চর দুলাল বাড়ী এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের নদী ভাঙনকবলিত আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ঘরে-ঘরে ঘুরে শীতার্তদের কম্বল বিতরণ করেছেন এসিল্যান্ড ও পিআইও। এর আগে চুড়খাই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা লদের শীত নিবারণে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন পিআইও মনিরুল হক ফারুক রেজা ।
কম্বল পেয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, এক সপ্তাহের বেশি দিন ধরে ব্যাপক শীত পড়েছে। তাছাড়া নদী ভাঙনে বসত-ভিটা হারিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকি। অনেক বাতাস ও শীত লাগে। কেউ খোঁজ খবর নেয় না। হঠাৎ দরজার শব্দ পেয়ে দেখি কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন লোক। পরে এসিল্যান্ড ও পিআইও হাতে কম্বল তুলে দেন।
বৃদ্ধ আলাল হোসেন বলেন, আমরা গরিব মানুষ, টাকা পয়সাও নেই যে শীতবস্ত্র কিনে শীত নিবারণ করব। আগুনের কাছে থাকলেও শীত কমে না। এ শীতের রাতে দুই স্যারে কম্বল দিয়েছেন। শুধু আমি একা নই, আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকা শতাধিক মানুষকে তারা কম্বল দিয়েছেন। আমাদের খুব ভালো লাগছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা জানান, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি সিটি করপোরেশনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ব্রহ্মপুত্রের নদী ভাঙনকবলিত এলাকা, প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্প, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৭শ’র মতো কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ উজ্জ্বল হোসেন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, ইউএনও মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সার্বিক সহযোগীতায় নদী ভাঙনকবলিত মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে রাতে কম্বল দিয়েছি। রাতের বেলায়ও দেয়া হয়েছে। আমাদের সবার উচিত সাধ্যমত অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্রদের পাশে এসে দাঁড়ানো।
তিনি আরো জানান, কিছুদিন যাবত কনকনে শীত জেঁকে বসেছে। অনেক অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষ শীতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের শীত নিবারণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেওয়া কম্বল জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে বিতরণ করছি।