June 30, 2025, 9:17 pm
ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা জটিলতার নিরসনের মাধ্যমে স্কুলগুলোর পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ।
সদর উপজেলায় যোগদানের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে তার অভিযানে স্কুলের সীমানা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তিসহ পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে। তারা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর প্রতি।
তার অভিযানে সদর এলাকার রাস্তার পাশে থাকা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকা ২৭টির বেশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাকা-আধাপাকা ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা ভূমি অফিস।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন জানান, উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্কুলের সরকারি সম্পদ অবৈধ ভাবে দখলে নেওয়া দখলকারীদের অবগতির জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছিল। কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় ইউএনও স্যার প্রতিদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সরকারী জমির সীমানা নির্ধারণ করে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেন বলে তাদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ দেন ইউএনও।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন আরো বলেন রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা জটিলতা নিরসন হয়েছে। এখন দ্রুতই সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন-উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নের ঝাপারকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন ভবন,ক্লাশ রুম ছিলোনা,যেটুকু ছিলো টিন শেড ঘর,প্রচন্ড রোধের তাপে শিশুরা হয়ে যায় অসুস্থ।এর ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করে দ্রুত ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নেন ইউএনও শফিকুল ইসলাম।
রাঘবপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক উম্মে হানি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুহিবুল্লাহ জানান-আমাদেরন রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে স্কুলের বাউন্ডারি নির্মাণে স্কুলের জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করতে এসে ইউএনও স্যার স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে আলোচনা করেন। দীর্ঘ আলোচনা ও মাপযোগ শেষে স্কুলের মোট জায়গা ৫০ শতাংশের মাজে মাপযোগ করার পর পাওয়া যায় সাড়ে ৪৩ শতাংশ। এ বিষয়টি সমাধানে প্রাথমিক একটা সিদ্ধান্তে আসেন ইউএনও । সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের স্কুলের সীমানা সংক্রান্ত আর কোন জটিলতা নেই। । এছাড়াও এ উচ্ছেদের ফলে রাস্তা,মাদ্রাসা,মসজিদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা জটিলতা, ঈদগাহের সীমানা জটিলতা নিরসন হয়েছে।
চরনিলক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক মন্ডল জানান-বিষয়টি দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা ছিল এলাকাবাসীর, এর ফলে রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা জটিলতা ও এলজিইডি রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হবে। ইউএনও’র মেধায় স্থানীয়রা এসমস্যা সমাধান পেয়ে ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা।