July 12, 2025, 8:39 pm
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি, মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন,
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের দায়ে ছয়টি ড্রেজার মেশিন ও পনের হাজার ফুট পাইপ বিনিষ্ট করেছে ভ্রম্যমান আদালত।গত সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বাঙ্গরা শ্রীকাইল ইউনিয়নের উত্তর পেন্নুই, ভূতাইল,ও সোনাকান্দা এলাকায় তিন ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করেন,
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা।
জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গরা শ্রীকাইল ইউনিয়নে উওর পেন্নুই, ভূতাইল,ও সোনাকান্দ গ্রামের বিলে তিন ফসলি জমিতে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা প্রথমে সামান্য একটু জমি ক্রয় করে। পরে সেই কৃষি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করার ফলে আশ-পাশের জমি ভেঙ্গে পরলে, এক পর্যায়ে প্রভাব খাটিয়ে নাম মাত্র মূল্য দিয়ে নিরিহ কৃষকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় অনেক কৃষি জমি। তাদের ভয়ে সরাসরি কেউ প্রতিবাদ না করতে পেরে,স্থানীয় কৃষক ও কৃষি জমির মালিকরা মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার দপ্তরে কাছে কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কুমিল্লার অন্যান্য উপজেলা থেকে বেশি মুরাদনগরের শ্রীকাইল,বাঙ্গরা এলাকায় এসব ড্রেজার মেশিন অবৈধ বানিজ্য রমরমা চলছে, বিলুপ্ত করে দিচ্ছে শতশত একর কৃষি জমি। কৃষক দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত কাল
সোমবার (১৫ ই জানুয়ারি) সারাদিন ব্যাপী পায়ে হেঁটে সুদূর বিলের মাঝখানে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এসময় বিভিন্ন গ্রামে ৬টি ড্রেজার মেশিন ও ১৫ হাজার ফুট পাইপ বিনষ্ট করে ভ্রাম্যমান আদালত। এই ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চলাকালীন ড্রেজার দ্বারা অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনকারী মো: কাইয়ুম,কে ঘটনাস্থল হতে আটক করা হয় এবং এক লাখ(১,০০,০০০) টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি জরিমানা আদায় করে অব্যাহতি লাভ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো উপজেলায় কৃষি জমিতে একটি ড্রেজারও চালু থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত ত্রিশ গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম প্রভাব খাটিয়ে গোমতি নদীর চর কেটে, নদীর তলদেশ কেটে সাবার করতেছে প্রশাসন দুবার ভ্রাম্যমান দিলেও কাজেরকাজ হচ্ছে না,