May 9, 2025, 4:04 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের সাতবাড়ীয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবিতে মানববন্ধন ধামইরহাটে যুবদল কর্তৃক তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি সভা ধামইরহাটে ইএসডিও এর কার্যক্রম উপজেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন পাইকগাছায় ইট বোঝাই ট্রাকের ভারে কালভার্ট ভেঙ্গে খালে ;দু-র্ভোগে এলাকাবাসী পাইকগাছা উপজেলায় উন্নত ওয়াশ সেবা বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বিপন্ন রয়েল বেঙ্গল টাইগার: ২০৭৫ সালের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার শ-ঙ্কা সলঙ্গার দাদপুর জি.আর কলেজের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন উজিরপুরে রাস্তা নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন ইউএনও আলী সুজা সেনাপ্রধানের সাথে সৌদি দূতাবাসের নবনিযুক্ত মিলিটারি অ্যাটাশে এর সৌজন্য সাক্ষাৎ
নেছারাবাদে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নেছারাবাদে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

নেছারাবাদে শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দীন খলিফার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ডেপুটেশন বানিজ্য,শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার,পুরানো ফাইল গেটে ইচ্ছেমত ভুল ধরে উৎকোচ নেয়া যেন তার নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষক উপর মহলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষকদের অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন খলিফা এখানে যোগদান করেই শুরু করেন দুর্নীতি। তিনি বিভিন্ন স্কুল থেকে সদ্য যোগদানকৃত সহকারি শিক্ষক এবং পুরাতন সহকারি শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে করেন ডেপুটেশন। প্রতিটি ডেপুটেশনে তিনি নিয়েছেন ১৫-২০ হাজার টাকা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন খলিফা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকদের অনুরোধ উপেক্ষা করে ডেপুটেশন বানিজ্য করেছেন খেয়াল খুশিমত। তাদের অভিযোগ যে স্কুলে শিক্ষার্থী বেশি শিক্ষক কম সেখান থেকে শিক্ষক নিয়ে ঘুষদানকারিকে সুবিধাজনক স্কুলে দিয়েছেন। এতে পাঠদানে চরম ব্যাঘাত ঘটছে ওইসব স্কুলে।
এসব বিষয়ে সংশ্লিস্ট বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কিছু জানতে চাইলেও তাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে এ শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

পশ্চিম জৌসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নাজনিন আখতার অভিযোগ করেন, আমি পুরানো একজন শিক্ষক। আমি বিশেষ কারনে অত্র বিদ্যালয় থেকে বদলির জন্য আবেদন করি। বদলি নিয়ে বরিশালের একটি স্কুলে যোগদান করি। ওই স্কুলে যোগদান করার পূর্বে আমার পুরানো কর্মস্থল থেকে রিলিজপত্র নেয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে যাই। এ জন্য ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নমিতা রানি হালদার শিক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করে তাকে দশ হাজার টাকা দিতে চাইলে তাতে তিনি রাজি হননি। এক পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে রিলিজপত্র দেন নমিতা রানি হালদার।

কুহুদাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিখিল মন্ডল অভিযোগ করেন, আমার স্কুলে ৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বিপরিতে পাচজন শিক্ষক ছিল। তারমধ্য প্রধান শিক্ষক অসুস্থ জনিত কারনে বিদ্যালয়ে আসতে পারেনা। বাকি চারজন শিক্ষক থেকে শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন খলিফা একজনকে ডেপুটেশনে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে স্কুলে তিনজন শিক্ষক আছেন। তার অভিযোগ শিক্ষা কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এই ডেপুটেশন করিয়েছেন। যাহাতে আমাদের কোন সায় ছিলনা। বর্তমানে শিক্ষক সংকটে এ স্কুলে পাঠদানে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

নাম না প্রকাশ শর্তে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা বেশকিছু বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি বিগত অর্থ বছরের ফাইল ঘেটে খেয়াল খুশিমত দোষ ধরছেন। তিনি উৎকোচ নেয়ার জন্য এসব ভুল ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করছেন। তার এসব অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কেহ কোন প্রতিবাদ করলে তাকে হতে হচ্ছে নানান হয়রানি।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সব মিথ্যা। আমার কাছ থেকে যারা কোন অনৈতিক সুবিধা নিতে পারছেনা তারা এসব মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD