December 7, 2024, 8:25 am
বায়জিদ হোসেন, মোংলা।
অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হয়। গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে লাশটি মাহে আলম’র। বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করা হয়।
নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান কর্তৃক লাশটি উত্তোনপূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমনা রানার কাছে হস্তান্তর করেন। লাশ উত্তোলনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূর আলম শেখ, মাহে আলম’র বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল কর্মসুচির মনিটরিং অফিসার সোহেল রানা, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশ উত্তোলনকালে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মাহে আলম’র লাশটি উত্তোলন পূর্বক তার ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তর করছি। চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন অতি উৎসাহী কিছু মানুষ কেন ৬৫ বছরের মাহে আলমকে ২২ বছরের হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত করলো সেটি জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত লাশটি মাহে আলম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই মাহে আলম অপহরণ মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে পরিগনিত হবে। মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন বিজ্ঞ আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরদেহটি বুঝে পেয়েছি। এখন আমার বাবার খুন এবং লাশ গুমের সাথে যারা জড়িত পুলিশ তদন্তপূর্বক সেই সকল প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করবে। অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যার ৬ টায় মোংলার বিএলএস জামে মসজিদ চত্বরে ব্যবসায়ী মাহে আলম’র জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজা নামাজে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ রুহুল আমীন।