January 7, 2025, 12:17 am
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটিতে ঘূর্নিঝড় মিথিলির প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার শংকা তৈরি হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন মিথিলার প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারনে ধান গাছ পড়ে যাওয়ায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ ধানের শীষ নষ্ট হয়ে চিটা হয়ে যেতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন।
কৃষক বেলাল হাওলাদার জানান, আমার প্রায় ৫০শতাংশ জমিতে আমন ধান রোপন করা আছে। সবে মাত্র ধানের শীষ আসা শুরু করেছে এরই মধ্যে বৃষ্টি ও বাতাসের কারনে বেশিরভাগ ধান গাছ ভেঙ্গে পরে পানিতে তলিয়ে আছে। এখন পরে যাওয়া ধানগাছ গুলো নষ্ট হয়ে যাবে। পানি শুকিয়ে গেলেও এই মৌসুমে আমন ধানের আর ভালো ফলন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
আরেক কৃষক ওমর আলী জানান, আমার জমির প্রায় সকল ধানই নুয়ে পরেছে যদিও কৃষি অফিস থেকে আশ^স্ত করা হয়েছে। পানি কমে গেলে ধান গাছ আবারও উঠে দাড়াবে তাদের যুক্তি অনুযায়ী নুতন জাতের ধানের এই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে আমাদের মাঝে একটা আতংক ও শংকা রয়েছে। ধান গাছের শীষ পানিতে ডুবে থাকলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। এখন অপেক্ষা করতে হবে দেখি কি হয়।
নলছিটি উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর আলী ইলিয়াস জানান, আমাদের উপজেলায় প্রায় ১২হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছিল। এর মধ্যে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হেক্টর জমির ধান কৃষক কেটে ঘড়ে তুলেছেন । এখন বাকি যেসকল কৃষকের ধান জমিতে আছে তার মধ্যে থেকে আনুমানিক ৮০-৯০হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের ধারনা উন্নত জাতের ধান হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের শনাক্ত করে সামনের রবি মৌসুমে বিভিন্ন প্রনোদনার ব্যবস্থা করবো যাতে তারা আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো.নজরুল ইসলাম জানান,ঘূর্নিঝড় মিথিলার পরে কৃষি অধিপ্তরসহ সব দপ্তরেই ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের মাঠ পর্যায়ের জরিপ শেষে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির কথা বলা যাবে।#
ফটো ক্যাপশনঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে ঘুর্নিঝড় মিথিলার প্রভাবে মাটির সাথে মিশে আছে আমন ধান।