October 5, 2024, 2:59 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
একাধিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ শিববাড়ি মোড় চত্বরে সাধারণ মুসলিম গোষ্ঠী ও সাধারণ ছাত্র সমাজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ রংপুরে গ্রামভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণী ও সমাপনী কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেটস এ্যাসোসিয়েশন বেকা-এর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালকিনিতে ইনডোর শিশু পার্কের উদ্বোধন নলছিটিতে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে যৌথ কর্মীসভা বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিমা তৈরির কর্মযজ্ঞ পরিদর্শন করলেন ময়মনসিংহের এসপি- ওসি চারঘাটে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন নলছিটিতে শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেফতার- ৩ সুজানগরে দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, যোগদানের ১৫ দিনের মাথায় ওসি প্রত্যাহার
বলেশ্বর নদের ভাঙনে ৪০০ ফুট রিংবাঁধ বিলিন

বলেশ্বর নদের ভাঙনে ৪০০ ফুট রিংবাঁধ বিলিন

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির:বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদের ভয়াবহ ভাঙনে প্রায় ৪০০ফুট রিং বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে গেছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা আশার আলো মসজিদসংলগ্ন মূল বাঁধের পাশের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জরুরিভাবে নির্মিত রিং বেড়িবাঁধে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এর ফলে মূল বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এর আগে সকালে ভয়াবহ ভাঙনে রিংবাঁধের বহিরাংশের কমপক্ষে ৬ বিঘা জমি গাছপালাসহ বিলিন হয়ে যায়।
রিংবাঁধ এবং মূল বাঁধের মাঝখানের অর্ধ শতাধিক পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বাঁধসংলগ্ন দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটার বাঁধ উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়। ‘সিএইচডব্লিউই’ নামে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি শুরু করে টেকসই বাঁধের কাজ। তিন বছরে পুরো বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হতে লাগে প্রায় ৭ বছর। তিন দফা কাজের মেয়াদ বাড়ানোর পর বাঁধের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাঁধটি পাউবোর কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে। কিন্তু হস্তান্তরের আগমূহুর্তে এই বিশাল ভাঙন বাঁধের স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গাবতলা আশার আলো মসজিদ থেকে ডিএস-৭ স্লুইস গেট পর্যন্ত দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জরুরিভাবে নির্মিত রিং বাঁধের প্রায় ৪০০ ফুট এলাকা বিলিন হয়ে গেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই অংশ বিলিন হয়ে যায়। এর আগে সকাল ৬টার দিকে ওই রিং বাঁধের সামনের প্রায় ৬ বিঘা জমির গাছপালাসহ বলেশ্বর নদের বিলিন হয়ে গেছে। এতে ভাঙন এলাকার মানুষের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা গেছে। ভেঙে সরিয়ে নিতে দেখা বাঁধের পাশের দোকান পাটগুলো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, নদী শামস না করে বাঁধ নির্মাণ করায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময় ভাঙনে বাঁধের বাইরের বিঘার পর বিঘা জমি বিলিন হয়ে গেছে। এখন মূল বাঁধে আঘাত করেছে ভাঙন। দুই বাঁধের মাঝখানের পরিবারগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দিয়েছেন। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের আগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নদী শাসন না করে বাঁধের কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ভাঙন এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আমার ইউনিয়নের গাবতলা, বগী, তাফালবাড়ীসহ বলেশ্বর তীরের প্রায় ১০-১২টি পয়েন্ট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব এলাকায় দ্রুত নদী শাসন কার না হলে এই বাঁধ শরণখোলাবাসীর কোনো কাজে আসবে না।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভাঙনের খবর শুনেছি। তবে, সিইআইপি কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত বাঁধ হস্তান্তর করেনি। বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD