October 12, 2024, 2:37 am
মংচিন থানা বরগুনা প্রতিনিধি।।
বরগুনার তালতলীতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু। সেই সেতুতে উঠতে হয় নারিকেল গাছের খুটি ও কাঠের তৈরি সাঁকো বেয়ে। এতে এলাকাবাসীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নামিশেপাড়া নিদ্রা খালের উপর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ করার কার্যাদেশ পায় মেসার্স সারা প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সিডিউল অনুযায়ী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক বছর ধরে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন থাকায় কোনো কাজেই আসছে না ওই সেতুটি।
দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় ওই সেতুটিতে উঠানামা করতে পারছেনা দুই গ্রাম নামিশেপাড়া ও লাউপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীসহ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন স্থানীয় ও রাখাইন শিশু শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রাম নামিশেপাড়া ও লাউপাড়া গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সেতুটি সড়ক থেকে অনেক উচ্চতায় নির্মাণ করার কারণে এবং সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুতে উঠতে ও নামতে উভয় প্রান্তে নারেকল গাছের খুঁটি ও কাঠের সিঁড়ি দিয়ে সাঁকো বানানো হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, গত এক বছর আগে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
অথচ এখন পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়নি। দেয়া হয়নি সেতুর উভয় প্রান্তে সংযোগ সড়কে মাটিও। কষ্ট লাগবে ওই সেতুটি নির্মাণ করা হলেও জনদুর্ভোগ এখন আরো বেড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মহিবুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ এখনো বাকি। তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়া হয়নি।
সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হলে ঠিকাদারকে বিল প্রদান করা হবে।
মংচিন থান
বরগুনা প্রতিনিধি