October 13, 2024, 8:32 am
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে বন্যার পানিতে প্লাবিত আমনখেত জেগে ওঠতে শুরু করেছে। তবে জেগে ওঠা আমণখেতে পচন রোগ এবং উঁচু জমির আমনখেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিন্ত্ত কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের কাছে পাচ্ছেন না কৃষকেরা। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষ্টপুর, মাঝিপাড়া, বাতাসপুর, শ্রীখন্ডা, দমদমা, নেজামপুর। পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) যশপুর, ইলামদহী, মোহাম্মদপুর, বনকেশর, কোয়েলমাঠ। চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি)বেড়লপাড়া,চাঁন্দুড়িয়া
পুর্বপাড়া, হাড়দহ, সিলিমপুর ও জুড়ানপুর মাঠ। বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) হরিশপুর, মাড়িয়া, বাধাইড় ও হাপানিয়া মাঠ। তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) দেউল ও বিলশহর ইত্যাদি মাঠের আমনখেতে বোগাপোড়া, পচন ও পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া আমনখেতে পোকা, পচন ও পাতা পোড়া রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ব্যতিত অনুমান নির্ভর হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না।
কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) পাড়িশো দূর্গাপুরনাড়িপাাড়া গ্রামের কৃষক বকুল হোসেন ও মোমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ৬ বিঘা আমন ধান বন্যায় ডুবে গেছে। আর যেসব জমিতে পানি উঠে আছে সেইসব জমিতে পচন রোগ ধরেছে। কিছুতেই কীটনাশক বিষ ব্যবহার করে দূর করা যাচ্ছে না পচন রোগ। তারা আরো বলেন, এবার আমন মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা আরো জানান, গত বারের চাইতে এবছর আমন চাষের সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি,সেই সাথে সংকট পড়ে পটাশ সারের। তাঁর পরেও কৃষকেরা যেভাবেই হোক সার পটাশ পানি কিনে আমন ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে নতুন করে আকাশের টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া একরের পর একর জমির আমন ধানে ধরেছে পচন। কিছুতেই দূর করা যাচ্ছেনা এ পচন রোগ। এমনকি মাঠেও পাওয়া যাচ্ছেনা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাদের। এতে পচন রোগ নির্ণয়ের জন্য কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ছাড়াই বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক কিনে জমিতে স্প্রে করে আরো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। প্রতিনিয়ত পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পুড়ে যাচ্ছে ধানের পাতা। কীটনাশক স্প্রে করেও কোন প্রতিকার মিলছেনা। শ্রীখন্ডা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, আমন ধানে পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও কৃষকের মাঝে কোন প্রকার পরামর্শ দিতে কৃষি অফিসের কোন উপসহকারী কর্মকর্তাদের দেখা পাচ্ছেন না কৃষকরা। বাধাইড় ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বলেন,বাজারে যেভাবে নামি-দামি কোম্পানির কীটনাশক বিষ বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল কীটনাশক বোঝা বড় দায় হয়ে পড়েছে কৃষকের। উপজেলায় এবার প্রায়
সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।