December 21, 2024, 3:42 pm
এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির : হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজাকে ঘিরে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের মন্ডপগুলোতে সাজ সাজ রব। একই মন্ডপে ১৫১ প্রতিমা, ৭৬ মন্দিরে দেবী দূর্গা সেজেছেন অপরুপ সাজে । এ উৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, উেেপজলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌর শহরে এবারে ৭৬টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ দূর্গা পূজাকে ঘিরে ইতমধ্যে উপজেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে প্রতিটি মন্দিরের সভাপতি সম্পাদকসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নের্তৃবৃন্দের সাথে পৃথক পৃথক সভা করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ বড় উৎসবকে ঘিরে এখন মন্ডপে মন্ডপে চলছে ডেকোরেশন ও আলোকসজ্জার কাজ। প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা মাটির কাজ শেষে রংতুলির কাজে ব্যাস্ত। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজা থেকে দশমী পর্যন্ত ৫দিন ব্যাপী চলবে এ দূের্গাৎসব। মূলত মহালায় দিন থেকেই দেবী দূর্গার আগমন বার্তা মর্তলোকে শুরু হয়। এবারে মা দেবী দূর্গার আগমন ও গমন হবে ঘটকে।
এদিকে এ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী ১৫টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে শ্রীপুর,জয়পুর দূর্গামন্দিরে দেবী দূর্গাসহ বিভিন্ন দেব দেবীর ১৫১ প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। এ খবর শুনে দূরদুরান্ত থেকে লোকজন মন্দিরে প্রতিমা দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ছুটে আসছেন।
কথা হয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র সাহা, সদস্য নিত্যানন্দ চক্রবর্তী, অংকুর সাহা সহ মন্দির কমিটির দায়িত্বে থাকা একাধিকরা বলেন, গত বছরে দূর্গাপূজায় ১০১ খানা প্রতিমা তৈরী করা হয়েছিলো এবারে ১৫১টি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। শারদীয় দূর্গাউৎসবে এ উপজেলার আশেপাশের ইউনিয়নের গ্রাম থেকে শুধু নয় পার্শ্ববর্তী জেলা পিরোজপুর, ইন্দুরকানি, ঝালকাঠি,বরিশাল এছাড়া জেলা শহর বাগেরহাট সদর সহ চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্ত ও পূজারীদের সমাগম ঘটে এ মন্দিরে।
এ সর্ম্পকে বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাস বলেন, এ ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস বেশী। দূর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতিটি বাড়ীতেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। শ্রীপুর জয়পুর দূর্গামন্দিরে ১৫১ প্রতিমার পূজা বাহিরে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ২০ সদস্যের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে ২৪ঘন্টা পাহাড়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গা উৎসবকে ঘিরে গোটা উপজেলা এখন উৎসব মূখর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। মন্ডপের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা, পুলিশ, গ্রাম পুলিশ,আনসার, বিডিপি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে পাহাড়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে সরকারী বরাদ্দকৃত চাল আগামী সপ্তাহে বিতরণ করা হবে।