October 14, 2024, 9:58 pm
বি এম মনির হোসেনঃ-
পিতার বাড়িতে যাবার পথে বরিশালের গৌরনদীতে খেয়া পারাপারের টাকা তোলার ঘরে এক গৃহবধুকে(২০)রাতভর সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা মুলাদী উপজেলার চর নাজিরপুর গ্রামের এক নারী (৫২) বাদি হয়ে অভিযুক্ত তিনজনের নাম উল্লেখসহ ছয় জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর(শনিবার রাতে) গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন-গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের নেছারউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জামাল হাওলাদার (৩৮), একই গ্রামের আয়নাল হাওলাদারের ছেলে রহমান হাওলাদার (৩৬), মৃত হারুন মৃধার ছেলে ও খেয়া ঘাটের মাঝি মিরাজ মৃধা (৪৫) এবং অজ্ঞাতনামা আরো তিনজন। মামলা দায়েরের পরে পুলিশ সাহেবেরচর গ্রামের অভিযান চালিয়ে এজাহারভূক্ত আসামি রহমান হাওলাদারকে ৮অক্টোবর বিকেলে গ্রেফতার করেছে। তাকে বরিশাল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলার বাদিনী অভিযোগ করে বলেন, আমার সহজ সরল প্রকৃতির মেয়ে গৌরনদী উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের গৃহবধু (২০) আমার পিতার (নানা) বাড়ি কুতুবপুর গ্রাম থেকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আমাদের (পিতার) বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে আমার মেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাহেবেরচর (হোসনাবাদ) বাজারের খেয়া ঘাটে পৌছে। এ সময় খেয়া ঘাটে খেয়া নৌকা না পেয়ে আমার মেয়ে খেয়া পারাপারের টাকা তোলার ঘরে অপেক্ষা করছিল। খেয়ার ঘাটের খেয়া নৌকার মাঝি মিরাজ মৃধা আমার মেয়েকে পারাপার না করে ওই ঘরে বসিয়ে রাখে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ভিকটিমের মা বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর রাতে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি রহমান হাওলাদারকে ৮অক্টোবর গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতকে ৮ অক্টোবর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভিকটিমকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।