December 30, 2024, 5:08 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিকদের মিলন মেলায় আহবায়ক নজরুল চেয়ারম্যান মধুপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে  ৫০,২০০ টাকা জরিমানা সুজানগরের শীতার্তদের পাশে ছাত্রদল নেতা সৌরভ নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা সাউন্ড ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ বানারীপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী গুরুতর আহত কালীগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বৃষ্টি হলেই শ্রেণি কক্ষে হাঁটু পানি, ব্যাহত পাঠদান

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বৃষ্টি হলেই শ্রেণি কক্ষে হাঁটু পানি, ব্যাহত পাঠদান

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির : বাগেরহাটের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৈন্যদশা। পূর্ণিমার অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও সামান্য বৃষ্টি হলেই শ্রেণি কক্ষে হাঁটু পানি জমে যায়। এতে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নেই কোন নজরদারি। শিক্ষার্থী অভিভাবকদের দাবি- একটি নতুন ভবনের।সরেজমিনে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১২৩নং মোরেলগঞ্জে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে স্থাপিত হলেও বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৪৩৫ জন। শিক্ষকন্ডলী র ১৭টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে ১৫ জন। ২০১৮ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য ও ১ জন সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন শিরিন আক্তার। কর্মরত ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন মাত্র পুরুষ শিক্ষক। বিদ্যালয়ে ১টি মাত্র সাইক্লোন শেল্টার ভবন সেখানে শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় পাঠদান।

এর পাশেই ১৯৯১-৯২ ও ২০০১ সালে নির্মিত ছোট দুটি ভবনের একটি টিনসেডের ৫ কক্ষ বিশিষ্ট জরাজীর্ণ নাজুক টিন সেড ঘরে শিক্ষার্থীদের প্রাক প্রাথমিক, ৩য় শ্রেণির ২টি শাখা ও ৪র্থ শ্রেণির ১টি শাখার পাঠদান। বাকি ভবনটিতে শিক্ষকমন্ডলীর অফিস কক্ষ ও ৪র্থ শ্রেণির অন্য একটি শাখার ক্লাস নিয়ে আসছেন শিক্ষকরা। ভবন দুটির ফ্লোর অত্যন্ত নিচু, অতিরিক্ত লবনাক্ততার কারণে ফ্লোর, ওয়ালে ফাটল। ২০১৬ সালে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো প্রায় ৬’শ এখন এখানে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ জন। দিন দিন অন্যত্র চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের ক্ষোভ রয়েছে এভাবে হাটু পানির মধ্যে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান হতে পারে না। কর্মকর্তাদের নজরে কি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চোখে পড়ে না। পৌর সদরের প্রাণ কেন্দ্রে এ বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে তদবির করে আসছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তারা তদবির ও বদলি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন অন্যদিকে নজর দেবার সময় নেই।

৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানভীর আলম, প্রান্তিক সাহা, অরিন্দম সাহা, ৩য় শেণীর হাবিবা, জান্নাতিসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই টিন থেকে পানি পড়ে এবং জোয়ারে আমাদের ক্লাস রুমে পানি জমে যায় এর মধ্যেই কষ্ট করে ক্লাস করতে হয়। কবে হবে আমাদের নতুন ভবন।#

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD