December 30, 2024, 5:44 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিকদের মিলন মেলায় আহবায়ক নজরুল চেয়ারম্যান মধুপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে  ৫০,২০০ টাকা জরিমানা সুজানগরের শীতার্তদের পাশে ছাত্রদল নেতা সৌরভ নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা সাউন্ড ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ বানারীপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী গুরুতর আহত কালীগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন
নড়াইলের মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন শত শত একর ফসলি জমি সর্বনাশ

নড়াইলের মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন শত শত একর ফসলি জমি সর্বনাশ

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইলের মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের পার আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় ৩শ পরিবারের ঘরবাড়ি মধুমতী নদীর কবলে বিলীন হয়ে গেছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, রোববার (১ অক্টোবর) পার আমমডাঙ্গা ও ছাগলছিড়ার মধুমতি নদী এলাকা ঘুরে দেখা যায় ভাঙনের এই দৃশ্যপট।
এলাকাবাসী জানান, তারা দীর্ঘ ৩ থেকে ৪ বছর মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আছেন। জয়পুর ইউনিয়নের পার আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় ৬শ পরিবার নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে আছে। এই ভাঙন পায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর আগে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার থেকে সাহায্য সহযোগিতা খুবই নগন্য দেওয়া হয়। এ বছর কোনো সরকারি সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হয়নি। এই এলাকার বাসিন্দারা এখন সর্বশান্ত। তাদের মাথা গোজার ঠাঁইও নেই।
পার আমডাঙ্গা গ্রামের আ. সবুর খান, নুর আলম মাস্টার, সোহাগ মাস্টারসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের গ্রামের শতবর্ষের মসজিদ-মাদরাসা, কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি সর্বনাশা মধুমতি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি। বর্তমান সংসদ সদস্য প্রায় দুই বছর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। দ্রুত নদী ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছি।
নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ২০২০/২১ অর্থ বছরে নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু সেটিও এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদী ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।
এ ব্যাপারে নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসফাকুল হক চৌধুরী জানান, নদী ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD