December 21, 2024, 4:57 pm
মোঃ কাউছার উদ্দীন শরীফ ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত পালাকাটা গুলজার বেগম মডেল দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত সুপার আনিছ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য ও গোপনে সরকারি বই বিক্রি সহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এলাকাবাসীর মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার পালাকাটা শুক্কুরের দোকান বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানব বন্ধনে এলাকাবাসীরা বলেন,জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে গোপনে সরকারি বই বিক্রি করার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুন্য পদে যোগ্যতা সম্পন্ন অফিস সহকারী,কম্পিউটার অপারেটর,নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী সহ আয়া পদে আগ্রহী ব্যাক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে নানান অনিয়ম দুনীতি করলে এইদিন গোপনে সরকারি বই বিক্রি করার খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন ও ঈদগাঁও উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়ার অভিযানে মাদ্রাসা সুপারের গোপনে সরকারি বই বিক্রি করার দৃশ্যটি হাতেনাতে ধরা পড়ে।
২০২০,২০২২, ২০২৩ সাল থেকে মাদ্রাসা সুপার শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ দেখিয়ে বছরের পর পর দ্বিগুণ বই উত্তোলন করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্ধেক বিতরণ করে বাকি বই গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পালাকাটা গুলজার বেগম মডেল দাখিল মাদ্রাসার সুপার নাছির মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে কিছু পুরাতন বই-খাতা বিক্রি করার সময় জেলা শিক্ষা অফিসার সহ উপজেলা প্রশাসন উপস্থিত হলে বইগুলো পুনরায় মাদ্রাসা লাইব্রেরিতে রেখে দেওয়া হয়।
বিষয়টি জানতে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পালাকাটা গুলজার বেগম মডেল দাখিল মাদ্রাসায় সরকারি বন্ধের দিনে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিক্রয়ের চেষ্টা করার বইগুলো জব্দ করে পুনরায় মাদ্রাসা লাইব্রেরীতে রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন ঈদগাঁও উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া।
মাদ্রাসা সুপার নাছির মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মাদ্রাসায় কর্মরত থাকলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে চাই। তাই উক্ত সুপারকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা।