October 15, 2024, 12:54 am
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বিমান মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মরহুমের দ্বিতীয় ও বাদ মাগরিব নিজ এলাকার লাহারকান্দি গ্রামে ৩য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
২য় নামাজের আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় ফুলেল শ্রদ্ধা জানান জেলার সর্বস্তরের রাজনৈতিক ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ। এর আগে সকাল ১১ টায় প্রথম জানাজা জাতীয় ন্যাম ভবন (৫ ও ৬) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৩ টা ১৯ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা যায়, এ কে এম শাহজাহান কামাল ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার আটিয়াতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. ফরিদ আহমেদ এবং মাতা মাসুমা খাতুন। তার স্ত্রী ফেরদৌসি কামাল। তিনি এক পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক।
শাহজাহান কামাল ১৯৬৩ সালে লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি, চৌমুহনী মদন মোহন কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পাস করেন এবং একই কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। শাহজাহান কামাল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে তিনি নবগঠিত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১১ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে তিনি সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।