May 9, 2025, 5:21 pm
এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
উলিপুর উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিরাজুদ্দৌলা এবং নাগেশ্বরী উপজেলার সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তদবির করে বিশেষ কাবিখা, কাবিটা ও জিআর একাধিক প্রকল্পে কাজ না করে রাজত্বের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিরাজুদ্দৌলার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে (১৪সেপ্টেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন-১) ও সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম সোহরাব হোসেনের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিরাজুদ্দৌলার বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বিল পরিশোধ, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা, প্রকল্পের টাকা ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্রের লটারিতে ফলাফল পাল্টে নিজ সহকর্মীর ভাইয়ের নামে কাজ দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলাও চলমান রয়েছে। শুধু তাই নয় সিরাজুদ্দৌলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে চিলমারী, নাগেশ্বরী ও উলিপুর উপজেলায় প্রকল্পের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ হাতিয়ে নিয়ে করেন রাজত্ব।
এসব অভিযোগ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদক সেবনের অভিযোগ তুলেছেন উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু। এ নিয়ে পিআইওর ডোপ টেস্টেরও দাবি তোলেন চেয়ারম্যান। নানা কারণে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সিরাজুদ্দৌলার দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
অপরদিকে পিআইও সিরাজুদ্দৌলা নিজেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তদবির করে চলতি অর্থবছর জুন ক্লোজিংয়ে উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণের নামে বিশেষ কাবিখা প্রকল্পের ১৪শত মেক্ট্রিক টন চাল বরাদ্দ এনে ‘কাজ না করেই অতি গোপনে চাল উত্তোলন করেন এবং কাগজে-কলমে প্রকল্পের কাজ শতভাগ দেখিয়ে চাল হরিলুট করার সত্যতা মিলেছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ বি এম আকরাম হোসেন বর্তমানে বড় কর্তা হওয়ার সহযোগিতায় নাগেশ্বরী উপজেলার প্রকল্পের মাস্টার মাইন্ড সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ইতোমধ্যেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তদবির করে ৩হাজার মেক্ট্রিক টন বিশেষ কাবিখা, কাবিটা প্রকল্প আনতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সিরাজুল ইসলাম সব-সময় ঢাকায় অবস্থান করেন।
বদলিসহ বিশেষ কাবিখা প্রকল্পের বিষয়ে জানতে পিআইও সিরাজুদ্দৌলার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার প্রকল্প মাস্টার মাইন্ড সিরাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি বিশেষ প্রকল্প আনতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছি। অনুগ্রহ করে সংবাদ প্রচার করেন না। দেখা হলে কথা হবে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।