May 9, 2025, 3:45 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের সাতবাড়ীয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবিতে মানববন্ধন ধামইরহাটে যুবদল কর্তৃক তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি সভা ধামইরহাটে ইএসডিও এর কার্যক্রম উপজেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন পাইকগাছায় ইট বোঝাই ট্রাকের ভারে কালভার্ট ভেঙ্গে খালে ;দু-র্ভোগে এলাকাবাসী পাইকগাছা উপজেলায় উন্নত ওয়াশ সেবা বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বিপন্ন রয়েল বেঙ্গল টাইগার: ২০৭৫ সালের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার শ-ঙ্কা সলঙ্গার দাদপুর জি.আর কলেজের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন উজিরপুরে রাস্তা নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন ইউএনও আলী সুজা সেনাপ্রধানের সাথে সৌদি দূতাবাসের নবনিযুক্ত মিলিটারি অ্যাটাশে এর সৌজন্য সাক্ষাৎ
গোদাগাড়ীতে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধিজনদের অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধিজনদের অভিযোগ

হায়দার আলী,

নিজস্ব প্রতিবেদক: নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) একজন নির্বাহী প্রকৌশলী সময়মতো অফিসে যান না। কয়েকদিন ঘুরে যখন এই প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ মেলে, তখন যে কোন কাজের জন্য সেবাগ্রহীতাদের কাছে ঘুষ দাবি করে থাকেন। নেসকোর রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। তারা নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।

এরপর তদন্ত হলেও তদন্তে কী পাওয়া গেছে তা জানতে পারেননি অভিযোগকারীরা। নেসকোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী এখনও বহাল গোদাগাড়ী কার্যালয়ে। এ কারণে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। তারা এই প্রকৌশলীকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গত জুনে লিখিত অভিযোগ করা হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে। এতে গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি শান্ত কুমার মজুমদার, নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এসএম বরজাহান আলী পিন্টু, গোদাগাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ফজিলাতুন নেসা, প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমদাদুল হক মুকুল ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর কবির তোতা স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের গোদাগাড়ী উপজেলার দায়িত্বে থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ গোদাগাড়ীতে অবস্থান করেন না। থাকেন রাজশাহী শহরের নিজ বাড়িতে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি অফিসে যান। ২-৩ ঘণ্টা অবস্থানের পর আবার শহরে চলে যায়। তাঁর কারণে গোদাগাড়ীতে বিদ্যুৎ সেবার মান তলানিতে পৌঁছেছে। নানা সমস্যা নিয়ে সেবাগ্রহীতারা অফিসে গেলে তার সাক্ষাৎ পান না। কয়েকদিন ঘুরে সাক্ষাৎ পেলেও যে কোন কাজের জন্যই এই প্রকৌশলী ঘুষ দাবি করে থাকেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পৌর এলাকার শ্রীমন্তপুর মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তৈমুর রহমান ৫-৬ দিন ঘুরে প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ পান। প্রকৌশলী এই শিক্ষককে গালাগাল করে অফিস থেকে বের করে দেন। একই মহল্লার বাসিন্দা সারোয়ার সবুজ সম্প্রতি বিদ্যুৎ অফিসে গেলে আনসার সদস্যরা তাকে অফিসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। সবুজ প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ পাননি।
অভিযোগকারীরা বলেছেন, যে কোন কাজের জন্য দাপ্তরিক খরচের বাইরেও এই প্রকৌশলীকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয়। উপজেলা সদরের বিকাশ চন্দ্র শিং নামের এক ব্যবসায়ী নতুন সংযোগের জন্য গেলে তার কাছে ঘুষ দাবি করেন প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ। ঘুষ না দিতে পেরে বিকাশ এখনও সংযোগ পাননি। এই বিদ্যুৎ অফিসের সার্ভেয়াররাও ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পুনরায় নিতে গেলে ঘুষ দিতে হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। থ্রি ফেজের সংযোগের জন্যও লোড অনুযায়ী ঘুষ দিতে হয় বিদ্যুৎ অফিসে। এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

অভিযোগকারীরা বলেছেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বশুরের বিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়াশোনার সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন রায়হানুল ওয়াজিদ। সরকারের বদনাম করানোর জন্য নামাজের সময় তিনি ইচ্ছে করে লোডশেডিং করেন। লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে নাগরিকদের আগাম কোন বার্তাও দেওয়া হয় না। অফিস ফাঁকি দিয়ে তিনি শহরে তাঁর বাবার হার্ডওয়্যার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। তারা এই প্রকৌশলীকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

নেসকো বলছে, অভিযোগ পাওয়ার পর দুইদফা তদন্ত হয়েছে রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে। তবে অভিযোগকারীরা বলছেন, তদন্তের বিষয়ে তাদের কিছু জানানোই হয়নি। তদন্তে কী পাওয়া গেছে সেটিও জানানো হয়নি। পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত হলে তো অভিযোগকারীদের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এ রকম কিছুই হয়নি। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা না বলে কীভাবে তদন্ত হয়! আসলে আমাদের অভিযোগগুলো ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ বলেন, ‘আমার অফিসের ব্যাপারে কথা বলতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে। তা না হলে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি কোন কথা বলব না।’ এরপরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবার ফোন করা হলে তিনি আর ধরেননি।

জানতে চাইলে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বুধবার বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি গত জুলাই মাসে। তার আগে প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে একবার তদন্ত হয়েছে। আমি আসার পরেও একবার তদন্ত হয়েছে। তদন্তে কী পাওয়া গেছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD