December 14, 2024, 8:00 am
এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:বাগেরহাটের পানগুছি নদী তীরবর্তী উপজেলা মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা। নদীটিতে ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এছাড়া ট্রলার মালিকদের উদাসীনতায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা অবিলম্বে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চলতি অর্থবছরে পানগুছি নদীর ওপরে ব্রিজ তৈরির একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
নদী পারাপারে নৌযানটি যাত্রী নিতে পারে প্রায় ৩০ জন। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ মানুষ নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণভাবেই চলছে বাগেরহাটের পানগুছি নদীর ইঞ্জিল চালিত ট্রলারগুলো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হতে বাধ্য হন তারা। প্রায়ই ট্রলার মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
তাই, জনদূর্ভোগ এড়াতে দ্রুত পানগুছি নদীর ওপর ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ-ই আলম বাচ্চু বলেন, ‘মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, শরনখোলা এমনকি মটবাড়িয়া ভান্ডারিয়ারও একটা অংশের লোকজন এখান থেকে চলাফেরা করে। যে কারণে ব্রীজটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা জানালেন, পানগুছি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ৪’শ ১২ কোটি টাকার একটা প্রজেক্ট ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি।’
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, গত ১০ বছরে পানগুছি নদীতে প্রায় অর্ধশত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে প্রায় ৩০ জন। সবশেষ গত ২৮ মার্চ ৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় নারী,শিশুসহ ১৮ জন মৃত্যু বরন করেন।