October 13, 2024, 8:18 am
এস এম সাইফুলইসলাম কবির.বাগেরহাট : চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ ১০ জেলার আখের বাম্পার ফলন খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন ফলন বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকের মূখে হাসির ঝিলিক । বাগেরহাট জেলায় ৯ উপজেলায় আখ চাষ করে চাষিরা ব্যাপক ফলন পাওয়ায় তাদের মাঝে আখ চাষের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নতুন চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। জেলার মাটি এটেল দোআঁশ হওয়ায় এ মাটিতে আখ চাষে গত কয়েক বছরের মত এবারো সফলতা আশা করছেন চাষিরা। তবে ধান, পাট ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ার আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে আখ কাটতে। সারি সারি ভ্যান দাড়িয়ে আছে এ আখ নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখান থেকে আখ স্থানীয় বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে নিয়ে যায়। বাগেরহাট কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৯টি উপজেলার চিতলমারী মোল্লাহাট ফকিরহাট মংলা রামপাল মোরেলগন্জ শরনখোলা বাগহাট ও কচুয়ায় ৫ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। ৯ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিজ জমিতে আখ চাষ করে চাষিরা আশানুরুপ ফলন পেয়েছে। এতে অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পরে। কম পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় জেলায় কৃষকরা আখ চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ার কারণে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। বাংলা মাসের আশ্বিন মাসেই নতুন করে আখচাষ করা হয়। প্রথমে জমির মাটি ১ ফুট গর্ত করে পাশে তিনফুট পাশে রেখে মাটির সাথে বিভিন্ন সার মিশিয়ে ভালোমত চেলে আখের চারা রোপণ করা হয়। প্রায় ১ বছর মাঝামাঝি আখ বিক্রির উপযুক্ত হয়।
বাগেরহাটের কৃষকরা এ বছর হলুদ রং এর আখ, চিবিয়ে খাওয়া আখ, টেনাই, অমৃত জাতের আখের আবাদ করেছেন। এছাড়াও আখের পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমের শাখ সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। তবে বাগেরহাট জেলায় নেই আখ চাষীদের জন্য কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। নেই আখ চাষিদের জন্য কোন প্রকল্প। ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভবান না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে বর্তমান বাগেরহাট জেলার আখের ন্যায্য মূল্য দিয়ে কৃষকদের মুখে হাঁসি ফোটাবে, দেশ হবে স্বনির্ভর এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আখচাষি শহিদুল. আজমির. আব্দুস সত্তার. জাকির হোসেন জানান, এ বৎসর আখের ফলন ভাল হয়েছে, সে তার ২ একর জমিতে হলুদ বর্নের গ্যান্ডারি চাষ করে লাভবান হয়েছেন।আখচাষি আমির হোসেন বলেন, তিনি এবছর ২৪ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছেন। এতে করে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।
এস.এম.সাইফুল ইসলাম কবির
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা: