December 30, 2024, 5:16 pm
মোঃ মনিরুল ইসলাম, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তা’লীমূল কুরআন নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন করলেন নাচোল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জান্নাতুন নাঈম মুন্নি।
“প্রতিদিনের ন্যায়” আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের দোগাচ্ছী বাজারের পাশে নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন তিনি।
মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বরাদ্দ দিয়েছেন মুন্নি। তিনি বলেন আমি যেখানেই বরাদ্দ, অনুদান বা যাহাইকিছু দেইনা কেন, আমি সশরীরে উপস্থিত হয়ে তদারকি করে থাকি।
তিনি আরও বলেন শুধু এই মাদ্রাসা নয়, উপজেলার প্রায় প্রতিটি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান, রাস্তা ঘাট, ভিজিটি, দুঃস্থ মাতা কার্ড, মাতৃতিত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, সেলাই মেশিন, হাঁস, মুরগি, ঈদ উপহার, রিংপাট, পাইপ, কালভার্ট নির্মাণ কাজ গুলো করে থাকি। এবং অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো, আল্লাহ যদি আমাকে সহিসালামতে বাঁচায়ে রাখেন। তিনি আরও বলেন আগামীতে জনগণের ভোটে এবং ভালোবাসায় আমি যদি আবার জনপ্রতিনিধি হতে পারি তাহলে, উপজেলায় যে সব ছোট খাটো কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো শেষ করবো ইনশাল্লাহ।
মাদ্রাসা পরিদর্শন কালে বক্তব্যের মাঝে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন যতো গুলো জনসাধারণ মানুষকে কাজ দিয়ে যাচ্ছি বা উন্নয়ন মূলক কাজ করছি সব কিছুই দিচ্ছেন আমাদের আপনারদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সবকিছুই তারি অনুদান। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য আপনারা দোয়া করবেন এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিবেন, যেন আওয়ামী লীগ সরকার আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমাদের মাঝে আসেন এবং এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে।
মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় ও প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হারেজ উদ্দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার গুণগত মান ও শুনামের শহীদ ১শত ৮০জন ছাত্র ছাত্রী লিখা পড়া করছেন। মাদ্রাসায় মোট শিক্ষক রয়েছেন ৮জন।
মাদ্রাসার সভাপতি বলেন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মুন্নি আমাদের বরাদ্দ দিয়েছেন, তার জন্য দোয়া করি।
আমাদের মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। সে তুলনায় জায়গা অনেক কম। এবং ঘর দোয়ার ভালো ভাবে করতে পারিনি। আমাদের মাদ্রাসার দিকে যদি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, একটু যদি মাদ্রাসাটির দিকে নজর দিতেন তাহলে হয়তো আমাদের মাদ্রাসার কমলমতি ছেলে মেয়েদেরকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে এবং আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে অতি সহজ হতো।