October 12, 2024, 3:29 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা সন্ত্রা*সী আবছার গ্রেফতার নাটোরের লালপুরে বিএনপি’র উদ্যোগে সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  সুজানগরের পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুলাভাই নিহত, শ্যালক নিখোঁজ নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির” সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা’র শারদীয় শুভেচ্ছা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র রংপুর রেঞ্জ কমান্ডার কর্তৃক কুড়িগ্রামে দুর্গাপূজার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি পরিদর্শন নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের মুত্যুবার্ষিকী পালিত গোদাগাড়ী ও তানোরে বিএনপির নেতার পূজামণ্ডপ পরির্দশন ও অর্থ সহায়তা রাজশাহী মেডিকেল থেকে তিন দিনের নবজাতক চুরি র‌্যাব-১২ কর্তৃক অভিযানে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি গ্রেফতার কালীগঞ্জে পরিবারের দাবি হ*ত্যা গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নড়াইলে ভরা মৌসুমে পাট বাজারে ধস বিপাকে চাষিরা

নড়াইলে ভরা মৌসুমে পাট বাজারে ধস বিপাকে চাষিরা

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইলে ভরা মৌসুমেও পাট বাজারে ধস নেমেছে। পাটের ভালো ফলনে লাভের আশায় বুক বাধলেও দাম পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন এ জেলার চাষিরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে; যার বিপরীতে দুই লাখ ৭০ হাজার ১৪০ বেলপাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাটে দেখা যায়, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তাইতো নতুন পাটে সয়লাব এখানকার হাটবাজার। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান,
জেলার সবচেয়ে বড় পাটের মোকাম মাইজপাড়া, মিঠাপুরসহ বিভিন্ন হাটে নানা প্রয়োজনে বিক্রির জন্য চাষিরা তাদের উৎপাদিত পাট নিয়ে আসছেন। এতে বেলা বাড়তে না বাড়তেই ক্রেতা-বিক্রেতার ব্যাপক সমাগমে হাট কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে দর নিয়ে হতাশায় পড়েন চাষিরা।
মাইজপাড়ার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ পাট প্রতি মণ ১৫০০ থেকে শুরু করে ১৯০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। তবে মানভেদে কিছু পাট ১৩০০ এবং সামান্য কিছু সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
তবে এ হাটে পাট বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, চড়া দামে ডিজেল, সার, শ্রম কিনে ফসল ফলাতে গিয়ে এবার পাটের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। এ দিকে নতুন পাট ঘরে উঠতে না উঠতেই বাজার পড়ে যাওয়ায় লাভ দূরে থাক খরচও ওঠা নিয়ে তারা শঙ্কায় পড়েছেন। ধারদেনা শোধ করা নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এ অবস্থায় তারা বর্তমান উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।
এ দিকে মাইজপড়ার পাট ব্যাপারী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও গোবিন্দ কুণ্ডু জানান, পাটকল বর্তমানে দর কমিয়ে দিয়েছে, তাছাড়া পাট বিক্রি করে তাদের অনেক টাকা বাকি পড়েছে; তাই পাটকল পাট নেওয়াও কমিয়ে দিয়েছে। ফলে পাট বাজার পড়ে গেছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, নড়াইলে প্রধানত ভারতীয় জে আর ও ৫২৮ জাতের পাটের আবাদ হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বি জে আর আই তোসা পাট ৮ জাতের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি যথাযথ পরিচর্যা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতায় এবার পাটের ভালো ফলনও হয়েছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক নানা চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাট চাষ সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নিশ্চিত জরুরি বলেও তিনি অভিমত দেন। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD