December 22, 2024, 6:07 am
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ভুরুঙ্গামারীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজুর বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীকে প্রতিপক্ষ রওশন আলী গংরা মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে দৈনিক সমতট, বদ্বীপ বাংলাদেশ, ক্রইম তালাস অনলাইন এবং জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে হয়রানি ও মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউপির ধাউরারকুটি (মাঝিপাড়া) গ্রামের মৃত ছবিউল্লার ছেলে ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজু। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরন করে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন এবং ২০১২সালে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামি লীগের সক্রিয় সদস্য ও ২০২০সালে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সম্প্রতি, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগমদ্বয় কয়েল কেনার জন্য গত (৩০জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় বাড়ী থেকে মাঝিপাড়া বাজারে যাওয়ার পথে রওশন আলীর বাড়ী সংলগ্ন পৌছাঁ মাত্র ওঁ পেতে থাকা রওশন আলী তার দলবল নিয়ে রাজু ও তার স্ত্রীর পথ রোধ করে সুজন মন্ডলের হুকুমে রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগম পরিকল্পিতভাবে আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম কে লাঠি দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে আহত কামরুন্নাহার বেগমকে রওশন আলী শ্লীলতাহানিতা করে। রাজুর আত্ম-চিৎকারে স্বাক্ষী আব্দুল খালেক, নজর উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম ও পনির উদ্দিন তাদের উদ্ধার করে কামরুন্নাহার বেগম কে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
এদিকে প্রভাবশালী রওশন আলী ও তার দলবল জোকসাজস-সড়ষন্ত্র করে (৩০জুলাই) ঘটনার রাতে রওশন আলী তার স্ত্রী মিনারা বেগম কে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং ভুরুঙ্গামারী থানায় মিথ্যা, সাজানো ঘটনা বলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত (৩আগষ্ট) মিনারা বেগম বাদী করে আজিজুল হক রাজুর নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। ভুরুঙ্গামারী থানার মামলা নম্বর-০৩/৩০জুলাই ২০২৩খ্রিঃ। অতঃপর আজিজুল হক রাজুর ভাই আমিনুল ইসলাম গত (৩০জুলাই) ২০২৩খ্রিঃ বাদী হয়ে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের প্রেক্ষিতে এসআই নওশাদ আলী সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক ঘটনার সততা উৎঘাটন করে। অবশেষে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সুজন মন্ডল, রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগমের নামে একটি মামলা রুজু করেন। ভুরুঙ্গামারী থানার মামলা নম্বর-০৬/০৫আগষ্ট ২০২৩খ্রিঃ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাঝিপাড়া গ্রামের ফজলুল হক, সাইফুর রহমান, ছবিদুর রহমান বলেন, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম কয়েল কেনার জন্য বাড়ী থেকে মাঝিপাড়া বাজারে যাওয়ার পথে সুজন মন্ডলের হুকুমে রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগম রাজু ও তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধরে রক্তাক্ত করে। চিকিৎসার জন্য কামরুন্নাহার বেগম কে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রওশন আলী তার স্ত্রী মিনারা বেগম কে বাদী করে রাজুকে বিবাদী করে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করে হয়রানি করছেন। এদিকে আজিজুল হক রাজুর বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীকে সন্ত্রাসী রওশন আলী গংরা মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন এবং জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম কে মাঝিপাড়া বাজারে সুজন মন্ডলের হুকুমে রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগম রাজু ও তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধরে রক্তাক্ত করে। রওশন আলী তার স্ত্রী মিনারা বেগম কে দিয়ে আমার ভাই রাজুর নামে যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি প্রশাসনের নিকটে এর সুষ্ঠ বিচার চাই। আজিজুল হক রাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।।
ভুরুঙ্গামারী থানার তদন্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুটি মামলার তদন্ত করছেন এসআই নওশাদ আলী। তদন্ত সাপেক্ষে মামলার রিপোর্ট দেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে দুটি মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।