December 22, 2024, 6:22 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, আত্মরক্ষা কিংবা বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমেও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। তার প্রচেষ্টায় মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাবমূর্তি উজ্জলের ধারবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাকের সহযোগিতায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার দোগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭৬ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদানে এগিয়ে এসেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২২শে আগষ্ট) সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হলে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন আরা বেগম, ব্রাকের জেলা ব্যবস্থাপক জনাব জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন সেবা দেওয়ায় ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারাকান্দাবাসী। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভূয়সী প্রশংসায় মেতে উঠেছেন।
উদ্বোধনের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সবার মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। দেশপ্রেম না থাকলে দেশের জন্য কিছুই করতে পারবে না। নিজের ভবিষ্যৎও উজ্জল করতে হবে। তাই মোবাইল-ইন্টারনেটে কম সময় দিতে হবে। পড়াশুনায় মনোযোগী হতে হবে। পাশাপাশি ভাল কাজের সঙ্গে থাকতে হবে। বাল্যবিবাহের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এটা বন্ধে শুধু অভিভাবকই নয়, শিক্ষার্থীসহ সবারই এগিয়ে আসতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘বাল্যবিবাহের বিষয়ে সবসময় প্রতিবাদী থাকতে হবে। একই সাথে ভালোভাবে পড়াশুনা করে নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জলের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও উজ্জল করতে হবে।’
চক্ষু চিকিৎসা সেবা সেবা সম্পর্কে তিনি বলেন,দোগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু নয় উপজেলা প্রতিটি ইউনিয়নে অবস্থিত গ্রামের সবগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিয়ে সচেতন নয় । তাদের অনেকেই স্বাস্থ্য সেবার জন্য আর্থিক জটিলতা সহ নানান সমস্যার কারণে হাসপাতালে যেতে পারেন না। এই স্বাস্থ্য সেবায় তাদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে চক্ষু পরীক্ষা, ছানি অপারেশন ও লেন্স সংযোজন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সেবা দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে প্রতি বছর এই সেবা অব্যাহত থাকবে।