October 14, 2024, 8:27 pm
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইলে দুইটি হত্যা মামলায় মহিলাসহ গ্রেফতার পাচজন। নড়াইলে সুফল কুমার বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার। প্রেমের সম্পর্কের কারণে সুফল কুমার বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সে নড়াইল লোহাগড়া থানার কল্যাণপুর গ্রামের মৃত অনিল কুমার বিশ্বাসের ছেলে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, ঘটনার দিন গত (১৭ আগস্ট) তারিখ সে তার বর্গা জমিতে কাঁচাপাট বহন করতে যায়। কাঁচা পাট নিয়ে সে কল্যাণপুর গ্রামের দক্ষিণ পাশে শ্বশ্মানগামী রাস্তার উপর পৌঁছালে তার সাবেক প্রেমিকার ভাই ও আত্মীয়-স্বজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে তাকে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে দ্রুত নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি (১৮ আগস্ট)
মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে (১৯ আগস্ট) লোহাগড়া থানায় এজাহার দায়ের করলে হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনার সাথে সাথে নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন নির্দেশনায় অত্র এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয় এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দোলন মিয়া এর নেতৃত্বে (২০ আগস্ট) অত্র মামলার এজাহার নামীয় ৪ নং আসামি মোসাঃ নাজমিন বেগম (৫০), স্বামী-রোস্তম শিকদার, সাং- কল্যাণপুর, থানা-লোহাগড়া, জেলা-নড়াইলকে গ্রেফতার করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার সময়োপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপে অত্র এলাকার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরদিকে নড়াইলে রাধা বল্লব বিশ্বাস
হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার চারজন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাধা বল্লব বিশ্বাস (৭০) নামের এক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সে নড়াইল সদর থানার দেবভোগ গ্রামের রাম মোহন বিশ্বাসের ছেলে। গত (১৬ আগস্ট) রাধা বল্লব নামের ঐ ব্যক্তি তার দখলীয় জমিতে পাট কাটতে যায়। ফলে পূর্বশত্রুতার জেরে কতিপয় ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। এতে সে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন রাধা বল্লবকে দ্রুত নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ দিন সে হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় রাধা বল্লবের ভাইপো বাদী হয়ে (১৮ আগস্ট) নড়াইল সদর থানায় এজাহার দায়ের করলে হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনার সাথে সাথে নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন নির্দেশনায় অত্র এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয় এবং আসামি গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দোলন মিয়া এর নেতৃত্বে অদ্য ২০ আগস্ট এজাহারনামীয় ১ নং আসামি আলম শেখ (২৭), পিতা-সালাম শেখ, ২ নং আসামি সালাম শেখ (৫০), পিতা-মৃত লাল মিয়া শেখ, ৫ নং আসামি ইমরান শেখ (৩৫) ও ৬ নং আসামি ইমন শেখ (২২), উভয় পিতা-সালাম শেখ, সর্ব সাং-বাহির গ্রাম, থানা ও জেলা- নড়াইলগণকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় সদর থানা পুলিশ।
নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার সময়োপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপে অত্র এলাকার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।