September 10, 2024, 6:22 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
তানোরে নবাগত ওসিকে পৌর ছাত্রদলের ফুলেল শুভেচ্ছা বানারীপাড়ায় পাষন্ড মা ফেলে গেছে সদ্যজাত কন্যা ডাসারে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটের ঘটনা গুজব চাঁপাইনবাবগজ্ঞে বইপত্র নেই নামেই পাঠাগার মধুপুরে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কালকিনি মডেল প্রেসক্লাবের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে মিষ্টি মাল্টার বাম্পার ফলন,কৃষকের মুখে হাসি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি পরিবারকে ২লক্ষ করে টাকা দিয়েছে জামায়াতে ইসলাম নলছিটিতে খাদ্য ভিত্তিক  পুষ্টি বিষক মেলা ও  ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডক্টর’স ফোরাম এনডিএফ-এর কুমিল্লা শাখার কমিটি অনুমোদন
গোদাগাড়ীতে জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ

গোদাগাড়ীতে জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ

হায়দার আলী,
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে যোগদানের তারিখ জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ে গত ১ আগস্ট তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগ তুলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারে নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাসুদেবপুর এলাকার কবুতরপাড়া গ্রামের কুতুবুল আলম।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গোদাগাড়ী উপজেলার অভায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সারওয়ার জাহান ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারী তারিখে যোগদান করেন। সে সময় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো এইচএসসি পাশ। পরে সে বি.এ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৯৯৮ সালের জানুয়ারী মাসে বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। বি.এ পরীক্ষার আগে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে পারে না।

সহকারি প্রধান শিক্ষক সারওয়ার জাহান ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে তার নিয়োগের তারিখ ১ জানুয়ারী ১৯৯৭ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া বেতন বিলে তার নিয়োগের তারিখ ১ জানুয়ারী ১৯৯৭ লিখা আছে। কিছুদিন আগে থেকে সে তার নিয়োগের তারিখ জালিয়াতি করে ৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৮ সাল লিখছে। সে একমাত্র প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য জালিয়াতি করে তার নিয়োগের তারিখ পরিবর্তন করছে।

যেহেতু সে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের পর বি.এ পাশ করেছে। এখন যদি সে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাই তাহলে তার বেতন নাও হতে পারে। তাই সে জালিয়াতি করে বি.এ পাশের পর তার নিয়োগ দেখাচ্ছে। বর্তমানে সে জালিয়াতি করে বেতন বিল ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তার আসল নিয়োগ ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারীর পরিবর্তে ১৯৯৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারী ব্যবহার করছে। এসব অনিয়মের সঠিক তদন্তের জন্য ১৯৯৭ সালের শিক্ষক হাজিরা খাতা ও বি.এ পাশের সার্টিফিকেট তদন্ত করলে পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন।

এসব বিষয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষক সারওয়ার জাহানের সাথে মুুঠোফোনে যোগাগোর করা হলে, অভিযোগের সবকিছু শোনার পর বলেন, এখন বাসের মধ্যে আছি কোন কিছু শোনা যাচ্ছে না পরে কথা বলবো। পরে পুনরায় তার সাথে যোগাযোগ করা হলে আর ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

অপর দিকে অভিযোগ উঠেছে, গত ১ আগস্ট ওই বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে তিনজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম। আয়া পদে সেলিনা খাতুন, নৈশ প্রহরী পদে শামীম ইসলাম ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে সায়াদকে নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেকের কাছে ৮-১০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগে দিয়েছেন। টাকা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী সায়াদ প্রথমে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও হালকা পাতলা কিছু দিয়েছি বলে স্বীকার করে। নির্দিষ্ট পরিমান জানতে চাইলে ফোনটি কেটে দেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, তার দুই রকম যোগদানের তারিখ আছে এটা আমার জানা নেই। আমি দেখেছি তার প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা। টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক দিয়োগের বিষয়টি তিনি বলে এটা এক্কেবারে ভূয়া খবর। তিনকর্মচারী পদে নিয়োগে টাকার বিষয়ে বলেন, মোটা অংকের টাকা নয় নিয়োগ দিতে যে খরচটি হয় তার জন্য একেক জনের কাছে ৩০-৪০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. শারমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন অনেক অভিযোগ আসে। অভিযোগ ফাইল দেখে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD