October 13, 2024, 4:44 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বাবুগঞ্জে সম্মাননা স্মারক পেলেন সহিদ প্যাদা উজিরপুরে ছয় বছরের শিশু কন্যাকে ধ*র্ষণের চেষ্টা,লম্পটকে আটক করে পুলিশে দিল এলাকাবাসী বরগুনার তালতলীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৭ জেলেকে জরিমানা মাদারীপুরে জমি নিয়ে পূর্ব শ*ত্রুতার জেরে হামলা, আহত ৪ চারঘাটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস অনুষ্ঠিত সুজানগরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের রাজশাহীতে বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন আগামীকাল ৫৫ তম বিশ্ব মান দিবস ৩৫ বছর পর আদালতের রায় পুলিশী নিষেধাজ্ঞা অমান্য মামলায় হেরেও ঝিনাইদহে বিএনপি নেত্রী দখল করলেন অন্যের জমি বীজ প্রত্যয়ন অফিসারের যোগসাজসে রাজশাহীতে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ বীজ
মায়ের কবরটারও অস্তিত্ব নেই,ঘর থেকে নদীর দুরত্ব প্রায় ৫ হাত

মায়ের কবরটারও অস্তিত্ব নেই,ঘর থেকে নদীর দুরত্ব প্রায় ৫ হাত

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: মোঃ নাঈম মল্লিক

আমার মায়ের কবরটার অস্তিত্বও নেই। ঘর থেকে নদীর দুরত্ব প্রায় ৫ হাত।এইতো কয়েক দিন আগেই আমার ভাই প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকা খরচ করে পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর তোলে। সেই ঘরটাও এখন যেকোন মূহুর্তে নদীতে বিলিন হয়ে যাবে।  আমার বাবার প্রায় ১-১৫০ শতাংশ জমি এই নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আমার দাদা,দাদী,ফুফু,বাবা, সবার কবরই নদীর ভয়াল গ্রাসে কেড়ে নিয়েছে।  কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলেন, নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শাফিন আমান।
সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলিন হচ্ছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও জনপদ। নদী পাড়ের ১০গ্রামে তীব্র ভাঙনে দিশেহারা শতশত পরিবার। দফায়  দফায় বাড়ি ছেড়েও রক্ষা মিলছে না। বর্ষা মৌসুম আসলেই শংস্কায় দিন কাটে নদী পাড়ের মানুষের।

এলাকাবাসী জানায়, সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার তাদের মাথা গোজার শেষ সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে আজ তারা দিশে হারা।  একসময়ের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নদীর ভয়াল গ্রাসে সব হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

উপজেলার
তিমিরকাঠি,খোজাখালি,মল্লিকপুর,
সিকদারপাড়া,বহরমপুর,ষাটপাকিয়া,কাঠিপাড়া,অনুরাগসহ ১০টিরও বেশি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এরমধ্যে খোজাখালি, দরিরচর ও তিমিরকাঠি এই তিনটি গ্রামের  সম্পূর্নরুপে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সিকদারপাড়া গ্রামের দুই তৃতীয়াংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
শুধু ঘড়বাড়ি নয়, নদী গর্ভে বিলিনের পথে নলছিটি- দপদপিয়া আঞ্চলিক সড়কও। কর্তৃপক্ষ নামে মাত্র ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে
যা কোন কাজে আসছে না।

এ ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম.নিলয় পাশা বলেন, নদীর ভাঙন ঠেকাতে প্রথম পর্যায়ে ৭টি স্থানে ১৩কিঃমিঃ এলাকায় ডাম্পিংয়ের জন্য ৮শ ৫৫কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে নদী পাড়ের মানুষজনকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা যাবে বলে আশা করি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD