June 30, 2025, 10:07 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
আশুলিয়ায় ৫ লক্ষ টাকা ছিন-তাই গু-লাগুলি ও পৃথক স্পটে কিশোর গ-্যাং সন্ত্রা-সীদের হাম-লায় আহ-ত-৫ দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি পরিশ্রমী এক মানবিক চিকিৎসক ডা. হাসান মাহমুদ পাইকগাছা-সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের কাজ ফে-লে পালি-য়েছেন ঠিকাদার মহেশপুর সীমান্তে ফের ভারতীয় নারী আ-টক ঝিনাইদহের বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী’২৫ পালিত তেঁতুলিয়ায় বিবিজি প্রকল্প কাজে ব্যাপক অ-নিয়ম, অফিস নেয় লাখে ২৫ হাজার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা-গারে খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারুণ্যের উৎসব ও আলোচনা সভা অনিষ্ঠিত অ-বৈধ সম্পদ অর্জন: স্ত্রী-পূত্রসহ বালুব্যবসায়ী রাজশাহী মহানগর আ.লীগ নেতা বেন্টুর বিরু-দ্ধে দুদ-কের মা-মলা সরকারী নির্দেশে ৭ ব-ন্দীর সা-জা মওকুফ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি
আগৈলঝাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আগৈলঝাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

বি এম মনির হোসেনঃ-

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক শিক্ষকরা জানান
বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন ভাবে আমাদের জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। শেখর রঞ্জন ভক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হওয়ায় আমরা কিছুই বলতে পারি না। প্রতি বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত।শেখর রঞ্জন ভক্ত আগৈলঝাড়া যোগদানের পরে শুধু মাত্র ওনার কারনেই আগৈলঝাড়া শিক্ষা অফিসটি দুর্নীতির আকরার পরিণত হয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক শিক্ষকরা জানান, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে খেলার জন্য সরকারী বরাদ্দ থাকার পরেও উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নেওয়া হয়েছে দুইশত টাকা আদায় করা হয়েছে। যে কোন বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির জন্য তাকে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। চলতি বছরের নতুন শিক্ষকরা তাদের আইবাস প্লাস বিল উঠানোর জন্য প্রত্যেক শিক্ষকদের কাছ থেকে ১ হাজার করে টাকা আদায় করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে রাতে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরী থাকার কথা থাকলেও তারা না থাকায় তাকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। শিক্ষকরা সময় মত বিদ্যালয়ে না আসলে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। স্কুল ড্রেস, ক্ষুদে স্কুল ড্রেস,বঙ্গমাতা খেলার জার্সি তৈরি করার জন্য ঠিকাদারের কাছ থেকে আগেই টাকা আদায় করা হয়। শেখ রাসেল কর্নানের বই বাবদ প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এছাড়াও ১৩তম গ্রেডের বকেয়া বাবদ ২ হাজার টাকা। স্লিপ বাবদ প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করা হয়। রুটিন মেরামত বাবদ ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। মাতৃকালীন ছুটি বাবদ ২ হাজার টাকা আদায় করা হয়। ডিপি ইডি ট্রেনিং বাবদ ২ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে এবং ট্রেনিং শেষে যোগদানের জন্য পাঁচ শত টাকা আদায় করা হচ্ছে। যে সকল বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামত করা হয়, সেই সকল বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। যে কোন অনুষ্ঠানে জন্য ব্যানার বানানোর জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা স্থান নির্ধারন করে দিয়েছে। সেখান থেকেও সে প্রতি ব্যানার বাবদ দুইশত টাকা আদায় করছে। জিপিএ ফান্ডে টাকার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর আনতে গেলে ১ হাজার ৫ শত টাকা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা ৯৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ২ হাজার ৫শত টাকা গ্রহণ করে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত নিম্মমানের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ১হাজার ৭শত টাকা ক্রয় করে বাকী ৮শত টাকা আত্মসাৎ করেন।
তার এই উৎকোচ গ্রহনের কাজে সহযোগীতা করে কিছু অসাধু শিক্ষকরা। শিক্ষকরা তার অনিয়মের ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হলেও শিক্ষা কর্মকর্তার সামনে বসে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। কারন তার অধীনে শিক্ষকরা চাকুরী করার কারনে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমি কোন শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করিনি। উপজেলার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) উম্মে ইমামা বানিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এঘটনায় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আগৈলঝাড়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্তের অনিয়ম ও দুনীর্তির বিরুদ্ধে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, আমরা তদন্ত তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD