November 6, 2024, 12:14 pm
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েপালিয়েছেন সুপার নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের আবেদন করিয়ে পরীক্ষা নিতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে মাদ্রাসার সুপারসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যরা। এসময় চাকরি প্রত্যাশীদেরঅনিয়ম আন্দোলন ও অনশনে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যান সংশ্লিষ্টরা৷ শনিবার (২০ মার্চ) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন তিরনই হাট ইউনিয়নের ফকিরপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে৷ এর আগে মাদ্রাসার সুপারের অফিস কক্ষের সামনে সকাল ৭টা থেকে স্থানীয় মানুষ ও চাকরী প্রত্যাশিরা অবস্থান নেন৷ এসময় মাদ্রাসার সুপার জিয়াউল হক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইয়ুব আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আলী, ডিডি ও ডিজির প্রতিনিধি ও দুই পদের জন্য পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত হয়। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদ্রাসার সুপার ও কমিটির বিরুদ্ধে এবং পরীক্ষা বাতিলের দাবী নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেয় বঞ্চিত প্রার্থী ও স্থানীয়রা৷ এরআগে চাকুরি প্রত্যাশীদের পক্ষে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগও প্রদাণ করে তারা৷
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে জানান, ফকিরপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শূন্য পদে থাকা একজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন আয়া পদের জন্য ২০২০ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি দেখে স্থানীয় ৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেন কিন্তু সেই সময় হঠাৎ করে মহামারী করোনা ভাইরাস দেখা দিলে সেই কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া মাদ্রাসা কমিটি বন্ধ রাখে এবং নিয়োগ পরীক্ষা দিতে তাল-বাহানা করে এবং বিভিন্ন প্রার্থীর কাছে ঘুষ দাবী করে মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটি৷ অন্যদিকে দীর্ঘ দিন পর মাদ্রাসা কতৃপক্ষ পুনরায় দ্বিতীয় দফায় চাকুরী বিজ্ঞপ্তি গোপনে প্রকাশ করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে আবেদন করিয়ে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে৷ এতে বঞ্চিত হয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তি দেখে যারা আবেদন করেছিল সেই আবেনকারীরা।
এদিকে আজ শনিবার (২০ মে) সকালে সেই দুই পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এমন গোপনে খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষ ও বঞ্চিতরা সকাল থেকে মাদ্রাসার সুপারের অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে পরীক্ষা বন্ধের দাবী তুলেন। এসময় তাদের আন্দোলনের টোপের মুখে পড়ে সংশ্লিষ্টরা পরিক্ষা স্থগিত করেন এবং কৌশলে দ্রুত মাদ্রাসা ত্যাগ করে চলে যান ।
মাদ্রাসা কমিটির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করে স্থানীয়সহ চাকরি প্রত্যাশরীরা ৷ কমিটির সদস্যের দাপট দেখিয়ে সোলেমান আলী নামে অভিভাবক তার মেয়ে ও বোনকে আয়া পদের জন্য তকদির করে আবেদন করান।