July 5, 2025, 9:04 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেলেন সাংবাদিক এম এ আলিম রিপন সুজানগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে জামায়াতের উদ্যোগে ছাগল বিতরণ আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে অ-পরাধীদের ঘুম হারাম সলঙ্গায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ালো মানবাধিকার সংগঠন রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চান অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তা। নড়াইলে তিন কন্যার জন্ম দিলেন গৃহবধূ গোদাগাড়ীতে মহিষ পালনের উপর তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু মহেশপুরে ওয়াশিমের লা-শ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩ মাস পর ফেরত দিলো বিএসএফ বাগেরহাটে মাদ্রাসা শিক্ষকের জমি দ-খল চেষ্টা, গাছ ক-র্তন করে হা-মলা কুমিল্লায় পথ সভায় স-র্তক বার্তা দিয়ে দেশব্যাপীকে সজাগ থাকতে বললেন- ডা.সফিকুর
১০৪দিন সাগর-সুন্দরবনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, সুন্দরবনে ৯২ দিন পর্যটনবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ

১০৪দিন সাগর-সুন্দরবনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, সুন্দরবনে ৯২ দিন পর্যটনবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ২০মে থেকে বঙ্গোপসাগরে ও সুন্দরবনে সকল ধরণের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য অধিদপ্তর এবং বনবিভাগ। ফলে ২৩জুলাই পর্যন্ত সাগরে ও ৩১আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ শিকার করতে পারবেন না জেলেরা। এছাড়া প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন রাখতে ১লা জুন থেকে ৩১আগস্ট পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে সুন্দরবনে পর্যটনবাহী নৌযান চলাচলও। তাতে তিন মাস বন্ধ থাকবে সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন-ভ্রমণও। বছরের বিভিন্ন সময়ে মৎস্য অধিদপ্তর ও বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা মাছ ধরতে পারেননা সাগর এবং সুন্দরবনে। তারমধ্যে আবার দুযোর্গ তো রয়েছেই। ফলে বছরের বেশির ভাগ সময়টা কাটে উপকূলের জেলেদের খেয়ে, না খেয়েই। তাই জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানসহ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে পরিবারপরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার মত সরকারী সাহায্য পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন উপকূলের জেলেরা। কোন সাহায্য সহযোগীতা না পাওয়া বেশির ভাগ জেলেদেরকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জীবনজীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে নেমে পড়তে হয় সাগর-সুন্দরবনে। উপকূলের জেলেদেরকে সরকারী সাহায্য সহযোগীতার ব্যবস্থা করা গেলে প্রজনন মৌসুম যেমনি নির্বিঘ্ন হবে, তেমনি মাছ ও বন্যপ্রাণীর সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মোংলার চিলা ও কলাতলা এলাকার সমুদ্রগামী এবং সুন্দরবন নির্ভরশীল জেলে ইয়াসিন সরদার, সোবহান শেখ, মোহন বাছাড় ও ফারুক শেখ বলেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। যখন একটু মাছ ধরার সময় পাই তখন আবার থাকে ঝড়-জ্বলোচ্ছাস। বেশির ভাগ সময়ই নৌকা, জাল নিয়ে ঘাটে বসে থাকতে হয়। মহাজনের কাছ থেকে দাদন/ঋণ নিয়ে নৌকা ও জাল মেরামত/তৈরি করেছি। যাও মাছ পোনা হতো মহাজনকে কম-বেশি দিয়ে কোন রকম সংসার চলতো। এখন তিন মাসেরও বেশি সময়ের এ নিষেধাজ্ঞায় আমাদের তো না খেয়ে মরতে হবে। আমাদের তো জাল ধরা ছাড়া অন্য কোন আয়ের পথ নেই। কোন কাজ কামও নেই যে তা করে খাবো। সরকার যদি আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও সাহায্য সহযোগী করে তাহলে কোন রকম বেঁচে থাকতে পারবো বলে জানান তারা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, ৪৭৫প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ২০মে থেকে ২৩শে জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মৎস্য অধিদপ্তর। এই সময়টাতে কোনভাবেই জেলেরা সমুদ্রে মাছ আহরণ করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সমুদ্রগামী নিবন্ধিত ২হাজার ৬৪০জন জেলের প্রত্যেককে দুই দফায় দেয়া হবে ৮৬কেজি করে চাল। তবে এখানে নিবন্ধিত ছাড়াও সমুদ্রগামী আরো জেলে রয়েছেন আড়াই হাজার। তাদের ভাগ্যে জুটবেনা এ সহায়তা। মোংলায় সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে ৫সহস্রাধিক আর সুন্দরবন নির্ভরশীল জেলে রয়েছেন ৫হাজার। ফলে ১০সহস্রাধিক জেলেকে এই নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ২০মে থেকে মৎস্য অধিদপ্তরের জারিকৃত সাগরে নিষেধাজ্ঞার সাথে বনবিভাগেরও একাত্মতায় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে সুন্দরবনেও। এছাড়া ১লা জুন থেকে ৩১আগস্ট পর্যন্ত মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়াতে এই সময়েও সুন্দরবনের নদী-খালে কোন প্রকার মাছ শিকার করতে পারবেন না জেলেরা। সেই সাথে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে বন্ধ থাকবে সুন্দরবনে পর্যটনবাহী নৌযান চলাচলও। কারণ নৌযান চলাচলে মাছের প্রজনন এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ ও নৌযানের বিকট শব্দে বন্যপ্রাণীর বিচরণসহ প্রজনন কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে থাকে। তাই সুন্দরবনে জেলে ও পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকে তিন মাস ধরেই।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD