মোংলায় এখনও পর্যন্ত মোখা’র কোন প্রভাব পরেনি

মোংলা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কোন প্রভাব এখনও পর্যন্ত পড়েনি মোংলা বন্দরে। শনিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও রয়েছে সূর্যের খরতাপ। রোদ-মেঘে অনেকটা গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা জুড়ে। তবে উপকূলের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, এখনও পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোখা’র কোন প্রভাব পড়েনি। আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি দুই এক জায়গায় সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে রবিবার থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তাতেই চলমান তাপপ্রবাহ কমে আসবে। এদিকে শুক্রবার বিকেলে ৪নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত জারি পর মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে সন্ধ্যায় নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ষ্টিভিডরস কোম্পানী ও শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিরা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বন্দরে অবস্থানরত বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজ বন্ধ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বন্দরের হারবার বিভাগ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের ডেপুটি হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহাদাত হোসেন শনিবার সকালে বলেন, জাহাজের কাজ বন্ধ রয়েছে, ঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) উপ-সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, বন্দরের নিজস্ব এলার্ট-০২ জারি রয়েছে, এলার্ট-০৩ জারি করা হলে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। মোখা’র কোন ধরণের প্রভাব না পড়ায় মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের মাঝে তেমন কোন ভীতি ও শংকা নেই। সকলেই স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যস্ত রয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, যদিও ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের এদিকে আঘাত হানার তেমন সম্ভাবনা নেই, তারপরও আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত, খাবার ও ওষুধ মজুদ করা হয়েছে। আর শুক্রবার বিকেল থেকেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং প্রচারণা চালিয়ে জনসাধারণকে সতর্কীকরণের কাজ চলছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *