September 21, 2024, 3:36 am
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দুধকুমার নদীর পাড় ঘেঁসে ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী হয়ে কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর পর্যন্ত ৩৭.৭কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দ্রুত গতিতে তৈরী হচ্ছে। এটি নির্মাণ শেষ হলে বন্যা-নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে নদী পাড়ের শতাধিক গ্রামের মানুষ আর পাল্টে যাবে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দুধকুমার নদীর পাড় ঘেঁসে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা হয়ে কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর পর্যন্ত ৩৭.৭কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ৯টি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তৈরীতে লাগছে ৩৭কোটি ৭০লাখ ১২হাজার ৩২৮টাকা ৪৮পয়সা। ইতোমধ্য মেসার্স এসবি এবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাগেশ্বরীর বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী ও কালীগঞ্জ ইউনিয়নের দুধকুমার নদীর পাড় ঘেঁসে দ্রুত তৈরী করছে ২.৮৫০কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ভেকুর মাধ্যমে মাটি দিয়ে চলছে এ বাঁধের কাজ। একদিকে বন্যা থেকে রক্ষা পাবে কৃষি জমি ও নদী পাড়ের শতাধিক গ্রামের মানুষ। এছাড়া এই বাঁধ স্থানীয়দের নিরপেক্ষ চলাকালসহ পাল্টে যাবে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা। এরই মধ্য এই প্যাকেজের বাঁধের ২৫শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরে বর্ষার মধ্য শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মেসার্স এসবি এবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মো. নুরুল ইসলাম সুজন, ঠিকাদার বলেন, নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী ও কালীগঞ্জ ইউনিয়নের দুধকুমার নদীর পাড় ঘেঁসে বিধি মোতাবেক নির্মাণ করা হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এলাকার মানুষ বন্যা ও কৃষি জমি রক্ষা পাবে। এলাকার উন্নয়নে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হবে।
স্থানীয়রা বলেন, বাঁধটি তৈরী হলে ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। নিরপেক্ষ চলাচলের প্রধান বাহক হিসেবে বাঁধটি ব্যবহার হবে। পাল্টে যাবে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থা।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দুধকুমার নদীর পাড় ঘেঁসে ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী হয়ে কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর পর্যন্ত ৯টি প্যাকেজে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কাজ শেষ হবে ২০২৫সালে। বাঁধটি নির্মিত হলে এই এলাকার মানুষ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে উপকৃত হবে।