May 30, 2023, 9:47 pm
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পানিমাছ প্বাকুরি জারের পাশেই বাজারের পাশেই গত দুদিন আগে রাতের বেলা গাছ কেটে নিয়ে গেছে পরবর্তীতে একটি কেরাত কলে কেটে উন্নত সরিয়ে ফেলা হয়েছে জেলা জুড়েই চলছে গাছ খেকোদের তেলেসমাতি কারবার
কাঠ জোগান দিতে গিয়ে রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে বন বিভাগের হাজারো ফলজ ও বনজ গাছ।এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে লাইসেন্সবিহীন করাত কলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।বন বিভাগের তথ্যনুযায়ী, জেলায় মোট ২৫৪ টি করাত কল রয়েছে।সদরে ৯৩টি,আটোয়ারীতে টি ১৪,তেঁতুলিয়ায় ৩৪টি, বোদায় ৬৫ টি, দেবীগঞ্জে ৪৫ টি। এদের মধ্যে সদরে ৪ টি,আটোয়ারীতে ৫ টি বোদা ও দেবীগঞ্জে ২৫ টি কলের লাইসেন্স রয়েছে। ৩০ জন কল মালিক লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছেন। সরেজমিনে ঘুড়ে দেখা যায়, শহরের জালাসি, শিংপারা, রৌশনাবাগ, হেলিপোর্ট, ফকিরের হাট, ফুটকিবাড়ি, বোর্ড বাজার, গলেহাবাজার, গলেহা সরকারপাড়া, টুনিরহাট, ধাক্কামারা, মালাদাম, আমকাঁঠাল, কাজিরহাট, জগদল, কাজলদিঘী, কালিয়াগঞ্জ, গোয়াল পাড়াসহ জেলা উপজেলার আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে কলগুলো।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দুশো মিটারের মধ্যেও গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল। নিয়মানুযায়ী একটি করাত কল লাইসেন্স বাবদ সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হয় প্রায় ২ হাজার টাকা সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, এবং প্রতি বছর কল প্রতি নাবায়ন ফি ৫০০ সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। তাই নতুন লাইসেন্স ও পরবর্তী নবায়ন না হওয়ায় সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কল মালিক জানান,জেলার কল-মালিকদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আর বনবিভাগের লাইসেন্স পেতে ঘুরতে হচ্ছে বছরের পর বছর। আবার বৈধতা না থাকায় বনবিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের। সরকারের আয়ের উৎস হিসেবে যােগান দিতে বৈধভাবে কলের কার্যক্রম চালাতে লাইসেন্স প্রাপ্তির জােড় দাবী জানায় তারা।
পঞ্চগড় বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসূদন বর্মন বলেন,লাইসেন্স ছাড়া যাদের করাত কল চলছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা ও মামলা দায়ের অভিযান প্রতিনিয়ত চলছে।কল মালিকরা লাইসেন্স নিতে আগ্রহ থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জটিলতায় তা পারছেনা।