December 7, 2024, 7:37 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
তানোরে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা র‌্যাব-১২’র অভিযানে ডাকাত দলের ৭ জন সদস্য গ্রেফতার র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে ৬৬০ গ্রাম হেরোইনসহ ১ জন নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে ১২৩ গ্রাম হেরোইনসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নারীকে নামাজরত অবস্থায় দু-র্বৃত্তদের হ-ত্যা সাভারে সেনানিবাসে সিএসপি কোরের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বিএনপি নেতা ইফতেখার হোসেন পপেল সাংবাদিক নৃপেণ বিশ্বাসের ২১ তম প্রয়ান দিবস  পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গু-লিতে নিহ-ত ১ বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছেড়ে দেব না : কেন্দ্রীয় জামায়াত আমির
ক্ষেতলালের নারীরা কচুরিপানায় বাহারি হস্তশিল্প

ক্ষেতলালের নারীরা কচুরিপানায় বাহারি হস্তশিল্প

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কচুরিপানাকে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে ঝুড়ি তৈরির কাজ করছেন নারীরা। গৃহকর্মের পাশাপাশি ঝুড়ি তৈরির এ কাজ করে বাড়তি আয় করছে তারা। নারীদের তৈরি এসব ঝুড়ি যাচ্ছে দেশের বাহিরে।
বুধবার পৌর এলাকার ফকিরপাড়া ও সূর্যবান গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে। বেশকিছু বাড়িতে নারীরা এই ঝুড়ি তৈরির কাজ করছেন। কাজের ফাকে নিজ বাড়িতে বসে বিভিন্ন আকৃতির ঝুড়ি তৈরি করছেন তারা। এসব ঝুড়ি বাহারি রং করার পর পাঠানো হয় দেশের বাহিরে।
পৌর মহল্লার ফকিরপাড়া এলাকার শ্রী বিকাশ চন্দ্র এর স্ত্রী বৃষ্টি রানী জানান, নিজ গ্রামের মিঠুর স্ত্রী রোমানা বেগম এর মাধ্যমে এই ঝুড়ি তৈরির কাজে আগ্রহী হন। তার গ্রামের প্রায় পঞ্চাশজন মহিলা এই ঝুড়ি তৈরির কাজের সাথে সম্পৃক্ত। প্রথমে তারা রোমান বাড়িতে ঝুড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে নিজ বাড়িতে বসে এসব ঝুড়ি তৈরি করেন। কচুরিপানা সহ ঝুড়ি তৈরির যাবতীয় উপকরণ রোমানা তাদের সরবরাহ করে। তারা শুধু নিজের শ্রম দ্বারা ঝুড়ি তৈরি করে। ঝুড়িগুলো তৈরির ক্ষেত্রে আকৃতি অনুয়ায়ী ২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান। সংসারের কাজের পাশাপাশি এই ঝুড়ি তৈরি করে মাসে সে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় করতে পারে।
সূর্যবান গ্রামের নবিরুল মন্ডলের স্ত্রী শান্তনা আক্তার বলেন, আমরা কচুরিপানা দিয়ে প্রায় এগারো থেকে বারটি আইটেম এর ঝুড়ি তৈরির কাজ শিখেছি। আমি রোমানার মাধ্যমে কাজে আগ্রহী হয়েছি আমার দেখাদেখি আমার গ্রামের প্রায় ২০-৩০ জন নারী এখন এই কাজ করে।
ঝুড়ি গুলো বিভিন্ন আকৃতির হওয়ায় তৈরির ক্ষেত্রে আমরা আলাদা আলাদা মজুরি পাই। বর্তমানে আমি যে মডেল এর ঝুড়ি তৈরি করছি সেগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা মজুরি পাই। সংসারের কাজের পাশাপাশি এই ঝুড়ি তৈরি করে আমি বাড়তি আয় করতে পারি।
ঝুড়ি তৈরির উপকরণ সংগ্রহকারী পৌর এলাকার ফকিরপাড়া গ্রামের মিঠুর স্ত্রী রোমানা বলেন, আমি আগে অনলাইনের মাধ্যমে সুতার কাজ করতাম। পরে জয়পুরহাটের হেলকুন্ডা গ্রামের মা হস্ত শিল্প সংস্থার প্রধান মাহফুজ আলম সবুজ ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। তখন তিনি আমাকে এই ঝুড়ি তৈরির কাজ দেখান, কাজ দেখে আমি আগ্রহী হই
এবং কাজ করি। পরে আমার দেখাদেখি উপজেলায় এখন প্রায় ১০০ জন মহিলা এই ঝুড়ি তৈরির কাজ করছে। আমি এখন শুধু যারা ঝুড়ি তৈরির কাজ করে তাদের বিভিন্ন উপকরণ পৌঁছে দেই এবং ঝুড়ি বুঝে নেই এই দায়িত্ব পালন করি। ঝুড়ি গুলো বুঝে নিয়ে আমি সেগুলো জয়পুরহাটে সবুজ ভাইকে দেই। সবুজ ভাইয়ের বড় ভাই পাবনা বিডি ক্রিয়েশন কোম্পানিতে চাকুরী করেন। সবুজ ভাই এসব ঝুড়ি তার কাছে পাঠায় ওখানে বাহারি রং করার পরে নদী পথে জাহাজে করে এসব ঝুড়ি বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD