July 30, 2025, 8:45 pm
রিপন ওঝা,মহালছড়ি
হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ৭মার্চের ভাষণ উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণ ও সংগঠনের প্রিয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রোজ মঙ্গলবার সকাল ৮.০০ঘটিকায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সংক্ষেপে রতন কুমার শীলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনিবার্ণ শিখা হয়ে অ-ফুরন্ত শক্তি ও সাহস যুগিয়ে আসছে। একই সাথে ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ‘‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল” হিসেবে হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ্যে যে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। ১৮ মিনিটের কালজয়ী এ ভাষণের শেষ কটি শব্দমালা ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম… এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐতিহাসিক ভাষণের আটটি শব্দের শেষ দুটি লাইন হয়ে গেল সাত কোটি মানুষের মনের ভাষা। হয়ে গেল মুক্তিকামী বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন গণহত্যা শুরু করে তখন ধানমণ্ডির ৩২ নং বাড়িতে শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সেই ২৫মার্চের রাতে পাকিস্তানি সেনাশাসক সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধরে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে কারাগার নিবাস করেন। সেই রাতেই পাকিস্তানি সেনাশাসক সৈনিক ঘুমন্ত বাঙালির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাকে আরো জোড়দার করার লক্ষ্যে ২৬মার্চের প্রথম প্রহরে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
আব্দুল করিম খন্দকার বলেন পূর্ব বাংলা বেতারের এক টেকনিশিয়ান ২৬শে মার্চ বেতার বার্তায় সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। কোন কোন বর্ণনায় জানা যায়, আবুল কাশেম সন্দীপও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাটি জিয়ার পূর্বে পাঠ করেছিলেন এবং কৌশলগত প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সেনাবাহিনীর হতে দক্ষ একজন সৈনিক দিয়ে ঘোষণাপত্র পাঠ করানোর লক্ষ্যে মেজর পদবীর অধিকারী মোঃ জিয়াউর রহমান ২৭মার্চ ঘোষণা পাঠ করে শোনান। পরবর্তী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার ১০ই এপ্রিল সম্মিলিতভাবে দেশ স্বাধীকার আন্দোলনকে বেগবান করতে পৃনরায় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
উক্ত কর্মসূচিতে মহালছড়ি উপজেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।